কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে নিহতের ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে জাতিসংঘকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও চিঠি দেবে দলটি। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে মনে করছেন আমরা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি না। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে যে হত্যাকান্ড হয়েছে- তার তদন্তের জন্য আগেও বলেছি। আমরা এখন নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের কাছে তদন্ত চেয়ে চিঠি দেব। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও চিঠি দেব। এ ছাড়া আন্দোলন করার কারণে আটক ৫০ প্রবাসীকে মুক্তির জন্য ইউএইকে চিঠি দেব।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাই মাসের শুরু থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে সরকার বল প্রয়োগ করে তা দমনের চেষ্টা চালায়। রংপুরে বুক পেতে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবু সাঈদকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এরপর সারা দেশে এই আন্দোলনে গণমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী হাজারের কাছাকাছি মানুষ নিহত হন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকারের পদত্যাগের এক দফায় রূপ নেয়। গত সোমবার (৫ আগস্ট) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে টানা প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরও সারা দেশে কয়েক শ মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্র রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা রয়েছেন। নিহত হয়েছে অনেক সাধারণ মানুষও, যাদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুও মারা গেছে।