সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, এ সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করব। সরকার কিছু সংস্কার এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এর জন্য যে ধরনের যতটুকু সহায়তা তারা আমাদের কাছে চাইবে, আমরা করব। রাজশাহী সেনানিবাসের অতিথি ভবনে গতকাল বিকালে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি, পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার জরুরি। অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অভিযান চলছে। আশা করি সেগুলোও উদ্ধার হয়ে যাবে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। এজন্য আমরা সবাই কাজ করেছি। আপনারাও আমাদের সাহায্য করেছেন। এজন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, পুলিশ কিছু ট্রমার মধ্যে আছে। এ ট্রমাটা কাটিয়ে উঠলে পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। পুলিশ বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে এলে আমরা সেনানিবাসে ফেরত যাব।
বিমানবন্দর বা সীমান্তবন্দর থেকে যাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, জীবন বিপন্ন হয়- ধর্মবর্ণনির্বিশেষে এমন কাউকে কাউকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয় অবশ্যই তারা শাস্তির আওতায় যাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈদেশিক কোনো চাপ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, না, কোনো চাপ নেই। গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, পরিস্থিতি এখন একদম স্বাভাবিক। তাদের নেতৃবৃন্দ এসেছেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে যারা এ অপরাধ করেছেন, তদন্ত হবে। যারা এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, বিচার হবে। এর আগে সেনাপ্রধান রাজশাহী অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ ছাড়া র্যাব-৫ ও বিজিবি কর্মকর্তারাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।