ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। এতেকরে প্রাথমিকভাবে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যার প্রভাবে রাজ্যটির ৩৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ৮টি জেলা সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়েছে। জেলাগুলোর সাড়ে ছয় হাজারের বেশি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সরে গেছেন। সূত্র : এনডিটিভি।
বলা হচ্ছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এ অবস্থায় ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে রাজ্যটির প্রশাসক। এই বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারতের পানি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। যা সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে খুলে দিয়েছিল ভারত। গোমতী জেলার জেলাশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাসেলে জানিয়েছেন, গোমতী নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের জলস্তরও বিপৎসীমা ছুঁয়ে ফেলেছিল। বাঁধ বাঁচাতে গেট খুলে জল ছেড়ে দিতে হয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় রাজ্যটিতে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০টি রেলযাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একজন রেল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণে গোমতী জেলার অনেক রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত এ কারণেই তারা রেলযাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনী। বন্যায় আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন তারা।