দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় না দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ আহ্বান জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, আপনারা সমন্বিতভাবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ওষুধের সহায়তা দিন এবং ব্যবস্থা নিন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাব যে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার দেশে মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ-বিভেদ তৈরি করে ছিল। কিন্তু আপনাদের প্রতি একান্ত অনুরোধ-মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন না। একই সঙ্গে আপনারা ব্যক্তিগত ও দলীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসন আপনাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে দয়া করে সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দলমতনির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াই; আল্লাহর রহমতে অবশ্যই এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সক্ষম হব।
বাংলাদেশে এ আকস্মিক বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূল কারণ নয়। বরং এবারের বন্যার মূল কারণ উজানের দেশ প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনা। হঠাৎ বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিলেও একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেয়নি তারা। ফলে বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামান্য প্রস্তুতি নেওয়ারও সুযোগ পর্যন্ত পায়নি।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ সহায়সম্বল হারিয়ে নিদারুণ অসহায় হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কোনো অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করে সময় ক্ষেপণেরও এখন সময় নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্যাকবলিত মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষা করাই এ মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার।