‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নাম ব্যবহার করে অনেক জায়গায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ বিষয়গুলো জানাতে গতকাল দুদকে গিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। দুপুরে হাসনাত আবদুল্লাহসহ পাঁচজনের একটি টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে যান। পরে তারা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে দুদক চেয়ারম্যানসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো বৈঠক শেষে বেরিয়ে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের নাম ব্যবহার করে অনেক জায়গায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা খবর পাচ্ছি আমাদের নাম ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের আইনগত কোনো এখতিয়ার নেই, কাউকে সুবিধা দেওয়ার বা নিজেরা সুবিধার নেওয়ার।’ দুদক দুদকের আইন অনুযায়ী চলবে বলেও জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি জানান, তাদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে অসাধু উপায়ে কোনো সুবিধা নিতে না পারেন, এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে দুদকে এসেছেন।
পরে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা কমিশনের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা দুদককে বলেছি- গত ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাদের পছন্দ হয়নি তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কারও পরিবার নিয়ে সমস্যা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, কারও জমিজমা নিয়ে সমস্যা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আর যেন এমন না হয়, সেটাই বলেছি। আর যেন কোনো রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করতে না পারে, সে বিষয়টি বলেছি। যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন তারা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়। তাদের ওপর জনগণের আস্থা ফিরে আসুক।’ এদিকে গতকাল দুপুরে দুদক কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কয়েকজন।