পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে নতুন করে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে। সীমান্তের বিষয়টা যদিও আমার না কিন্তু ঢুকে পড়লে তখন আমাদের হয়ে যায়। এটা নিয়ে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সিরিয়াস আলোচনা হবে মন্ত্রিপরিষদে এবং এটা কীভাবে ঠেকানো যায় আমাদের চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, এটা যথাসম্ভব আটকানোর চেষ্টা করা হবে। আর আমরা নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেব না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে কি না বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অ্যাক্টিভ না? এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো সীমান্ত সিল করা কঠিন। আমরা এটা স্বীকার করি। এখানে অনেক সোর্স কাজ করে তার মধ্যে কিছু দুর্নীতিও হয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে আটকানোর। এটা নিয়ে হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, যে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল তাদের সাধারণ ক্ষমা করেছে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। আমি মনে করি এটা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিশেষভাবে কার্টেসি দেখিয়েছেন আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট। কারণ ড. ইউনূস তাঁকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলেন এবং তিনি সেটা রক্ষা করেছেন। তবে ইউএইর প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আপনারা যাদের পাঠাবেন আমাদের এখানে তাদের আমাদের আইন সম্পর্কে একটু ট্রেইন করে পাঠাবেন। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এরকম ঘটনা আর হবে না। সেন্টিমেন্টাল হয়ে তারা হয়তো সেটা করেছিল।
তাদের কী দেশে ফেরত পাঠানো হবে না কি সেখানে কাজ করতে পারবে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি যতটুকু জানি তারা সেখানে কাজ করতে পারবে। এমনকি তাদের যদি দেশে ফেরত পাঠাত আমরা সেটাকেও বিরাট সাফল্য হিসেবে গণ্য করতাম। তবে আমরা যতটুকু জেনেছি তারা সম্পূর্ণ ক্ষমা পেয়েছেন। কাজেই তারা সেখানে কাজ করতে পারবেন, এটাই আমাদের অনুমান।