স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে, মজুরি নিয়ে আন্দোলনে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত গণতদন্ত কমিটি। এ সময় গত বছরের শেষ দিকে মজুরি ইস্যুকে ঘিরে আন্দোলনে চারজন শ্রমিক নিহত হয় বলেও জানানো হয়। কিন্তু শ্রমিক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণতদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে সরকার পতনের আন্দোলনে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গণতদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই আন্দোলনে নিহত-আহত শ্রমিকদের সংখ্যা বের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে আনুমানিক শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর আগে মজুরি ইস্যুতে আন্দোলনে চারজন শ্রমিক নিহত হওয়ার তথ্য দিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা হয়েছে। এ সময় আরও জানানো হয়, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ১২ হাজার মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে।
সংবাদ সম্মেলনে আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে প্রশাসন প্রশ্ন তোলে। সুতরাং প্রশাসনও এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিজিএমইএ থেকে কোনো তথ্য আমরা পাইনি। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের দমন-পীড়নে কাজ করেছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।