বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের আমানত। আর আমানতের খেয়ানত যারা করে তারা মোমিন না।
গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা বিএনপি সভাপতি জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ অন্য নেতারা। মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আমরা এখন মুক্ত স্বাধীন। এ স্বাধীনতা ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ আমরা তা ধরে রাখতে পারব। আমাদের দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সবাই মিলেমিশে বসবাস করব। তারা আমাদের আমানত। সামনে দুর্গাপূজা। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। কারণ তারা আমাদের আমানত। তাদের যেন কেউ ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে খুনি হাসিনা হাজার হাজার মানুষ খুন করেছে। বিএনপি নেতা, ছাত্র-জনতাকে নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের আয়নাঘর বানিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আগস্টের ৪ তারিখ চিন্তাও করতে পারিনি ৫ তারিখে রাস্তায় এত মানুষ নেমে আসবে আর হাসিনার পতন ঘটাবে। তিনি বলেন, কারও ওপর অন্যায়-নির্যাতন করবেন না। নয়তো আওয়ামী লীগের মতো পরিণতি হবে। আপনারা কেউ তা চান না। মির্জা ফখরুল বলেন, সামনে নির্বাচন। কবে হবে তা জানি না। তবে এটা ঠিক, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে। যার কারণে আপনারা কেউ এতদিন ভোট দিতে পারেননি। মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সবাই ভালোমানুষ ও নিরপেক্ষ। কোনো দলের রাজনীতি করেন না। আপনারা ধৈর্য ধরেন সবাই শান্ত থাকেন। কারণ নির্বাচন সামনে আসছে। আমরা দেশকে ভালো রাখার সুযোগ যেন না হারাই। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ফখরুল বলেন, এখানে পাশেই ভারত সীমান্ত। আমরা ভালোভাবে থাকতে চাই। আমাদের ওপর অন্যায় করা হলে প্রতিবাদ করব। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লড়াই-সংগ্রামে ত্যাগের কথা তুলে ধরেন এবং তাঁদের জন্য দোয়া চান তিনি।