বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক সভা করতে সমন্বয়করা জেলা সফর করছেন না। ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জেলা সফর করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক পোস্ট আমাদের ব্যথিত করে। গতকাল বিকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে গণ অভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, ছাত্র আন্দোলনে নিহতদেরকে নিয়ে সারা দেশে মামলা ব্যবসা শুরু হয়েছে। সেই মামলায় অসংখ্য অপরাধীকে আসামি হিসেবে রাখা হয় আবার কিছু কিছু নিরপরাধ মানুষের নামও ওই মামলায় দেওয়া হয়। এ সময় তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে শহীদ প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত একজনের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করব আমরা। ইতোমধ্যে নিহত ও আহতদের সহায়তায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে সরকার। ধারাবাহিকভাবে আহত ও নিহত প্রত্যেক পরিবারকে এই ফান্ড থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। জেলার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সভা শেষে বিকাল ৪টায় শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।