জামায়াতের আদর্শ হলো গণমানুষের কল্যাণ ও মুক্তি। এমনটি জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বিষয়টি মানুষকে বোঝাতে পারলেই তারা জামায়াতের দাওয়াত গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তির কোনো সুযোগ নেই। শুধু আল্লাহকে রাজিখুশি করার জন্যই আমাদের দীনের পথে বিরামহীনভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর, কাফরুল, পল্লবী ও গুলশান জোনের যৌথ সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিম উদ্দিন বলেন, একটি সফল আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মাধ্যমে ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে নতুন আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীও ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তি ও দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ ঐতিহাসিক বিজয়ের অংশীদার। আন্দোলনে আপসহীন ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বীকৃতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অপপ্রচার ও ভুল বোঝাবুঝির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ জামায়াতকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের শপথের কর্মীদের হীনমন্যতার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিকের পরিচালনায় সম্মেলনে কোরআন থেকে দারস দেন অধ্যাপক ড. মাওলানা আবুল ইহসান।