জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের ঘটনায় আলোচনায় আসা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব কে এম আলী আযমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনে ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়। তবে যাঁরা ডিসি হতে পারেননি, তাঁরা এ দুটি প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হট্টগোল করেছিলেন। উপসচিব পর্যায়ের ডিসি হতে না পারা বঞ্চিত ওই সব কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ (এপিডি) শাখার যুগ্মসচিব কে এম আলী আযমের কক্ষে ঢুকে হট্টগোলও করেন। এ ছাড়া ওই যুগ্মসচিবকে ওয়াশরুমে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আট জেলায় নতুন ডিসির নিয়োগ বাতিল করে। নজিরবিহীন ওই হট্টগোলের এক সপ্তাহ পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলী আযমকে বদলি করা হলো। প্রশাসন ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা কে এম আলী আযম সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের মধ্যে ১৯ আগস্ট তিনি একই মন্ত্রণালয়ের (এপিডি উইংয়ে) যুগ্মসচিবের দায়িত্ব নেন। অন্যদিকে ওই হট্টগোলের ঘটনা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এম এ আকমল হোসেনের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। এদিকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। গতকাল তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেতু বিভাগের সচিব একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বেও থাকেন। মনজুর হোসেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের দশম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি সেতু বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও গবেষণা পরিষদে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে চেয়ারম্যান হয়েছেন ড. সামিনা আহমেদ। তিন অতিরিক্ত সচিবের দপ্তর পরিবর্তন করা হয়েছে।