ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সব প্রকার দলীয় রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত উপাচার্য লাউঞ্জে একটি জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং হয়। সভায় সিন্ডিকেটের ১৭ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন অংশ নেন। সেখানে ২ ঘণ্টা আলোচনার পর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সব প্রকার রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিস্তারিত জানিয়ে পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টির অগ্রযাত্রা শুরু হোক আজ থেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও একদল শিক্ষার্থী দলীয় রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করে।
এরই মধ্যে গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক (এফএইচ) হলে চোর সন্দেহে এক যুবক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল শিক্ষার্থী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানান বিভিন্ন দল, সংগঠন ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। এসব প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।