পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছেন। পাহাড়ের মানুষের কিছু হলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাসহ সমগ্র বাংলাদেশের জনতা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম, তাই পার্বত্য মানুষের কল্যাণে মানবিকতার মূল্যবোধ সবারই জেগে ওঠে। এটা পার্বত্যবাসীদের জন্য অত্যন্ত সুখের ও আনন্দের। গতকাল সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ কথা বলেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। এখানে ভেদাভেদ বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দিয়ে ও নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায়, ইকো ট্যুরিজম এবং বাংলাদেশিদের আধুনিক ও সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।
উপদেষ্টা বলেন, সবার মধ্যে কনফিডেন্স গড়ে তোলাই হলো আমাদের প্রধান কাজ। সবার মনে ইকুইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষার প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। ডিজিটালাইজড ফর্মে পার্বত্য অঞ্চলের সব ছাত্রছাত্রীকে আনা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পার্বত্য দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো এ মুহূর্তে সম্ভব নয়, তাই আমরা সেখানে আপাতত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল ইকোনমিক কাউন্সেলর এরিক গিলান, ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর রিড এইশলিম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা।