জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে অটোমেশন নিয়ে এনবিআর কথা বললেও অগ্রগতি খুব সামান্য। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিবন্ধন করার সময় আমি বারবার ব্যর্থ হয়েছি। একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন আমার স্ত্রীও। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সহায়তায় সেবা কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর আমি নিজেই ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে ফেইল করেছি। আমার স্ত্রী ও একই অভিজ্ঞতা ফেস করেছেন। এবারও একই অবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ ছিল মোবাইল ফোনের বায়োমেট্রিক সমস্যা। এটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলতে আমি নির্দেশনা দিয়েছি। অটোমেশনের ক্ষেত্রে আরও কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা দূর করার জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। করদাতার নিজের নামেই বায়োমেট্রিক দিয়ে মুঠোফোনের সিম নিবন্ধিত না থাকলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়ে সবাইকে প্রয়োজনে বায়োমেট্রিক দিয়ে নতুন সিম কেনার অনুরোধ করেন তিনি। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআর এর অনলাইনে নিবন্ধন এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু এর অগ্রগতি খুব সামান্য। বর্তমানে দেশে ‘ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ বা টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখেরও বেশি। সেখানে রিটার্ন জমা হয় ৪০ লাখের মতো। এর মাঝে কেবল ৫ লাখের মতো করদাতা গত করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এর আগে এর সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য। সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়ে চেয়ারম্যান এই কার্যক্রম আরও সহজ করার লক্ষ্যে বিদ্যমান বাধা অপসারণে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর ফাঁকিবাজদের বিষয়ে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে এখনই বড় আকারে ড্রাইভ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান চেয়ারম্যান।