বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, একটি গ্রুপ অব কোম্পানির একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো একটি ঋণ খেলাপি হলে বাকিগুলোর ব্যাংক সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়, খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রথা বাতিল করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। ফারুক হাসান বলেন, ব্যবসা করার জন্য অধিকাংশ ব্যবসায়ীর নিজস্ব তহবিল নেই। ফলে অনেক সময় একাধিক পার্টনার ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোম্পানি গঠন করা হয়। এদের মধ্যে কোনো একজন ব্যক্তি অথবা একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে সেই প্রতিষ্ঠানের সুবিধা তো বন্ধ করে দেওয়া হয়ই। বাকি সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক সুবিধাও বন্ধ করা হয়। এই প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এতে সবগুলো প্রতিষ্ঠান বিপদে পড়ে। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বলেন, ঋণের সুদহার বাড়ার কারণে তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও বেড়ে গেছে। ফলে পণ্য উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদহার বাড়ানো হয় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদহার বাড়িয়ে কোনো কাজ হবে বলে আমি মনে করি না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মানে জিনিসপত্রের দাম কমানো। তিনি বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ ঋণ নেয় বড় বড় কোম্পানি, ব্যবসায়ী গ্রুপ ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যক্তিগত ঋণ বাংলাদেশে অনেক কম। এটা বিদেশে অনেক বেশি। সেই কারণে বিদেশে মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদহার বাড়ানো হয়। আমাদের দেশে যে পাউরুটি বানায়, সে যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। পাউরুটি বানাতে তার খরচ বেড়ে যাবে। আলটিমেটলি সব জিনিসেই তো খরচটা বাড়ছে। তো এজন্যই উৎপাদন খরচ বাড়ছে। বিনিয়োগও ইতোমধ্যে কমে গেছে। অনেক ক্রেতা আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বেশকিছু ক্রেতা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের শিপমেন্ট বাতিল করেছে। আগামীতে আরও কমে যাবে। নতুন করে কর্মসংস্থান হবে না। আরও খারাপের দিকে গিয়ে কোথায় দাঁড়াবে বলা যাচ্ছে না।