কানপুরের গ্রিন পার্কের কালো মাটির উইকেটে জয়ের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু হার এড়ানো সম্ভব ছিল নাজমুল বাহিনীর। সহায়ক ছিল বৃষ্টি। পাঁচ দিনের টেস্টের ৪৫০ ওভারের মধ্যে খেলা হয়নি ২৪৫ ওভার। বাকি আড়াই দিন খেলা হলেও কানপুর টেস্টে হার এড়াতে পারেননি নাজমুল, সাকিব, লিটন, মেহেদি মিরাজরা। যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে শিক্ষানবিশ ক্রিকেটারদের মতো উইকেট বিলিয়েছেন অকাতরে। ভারত টেস্ট জিতেছে ৭ উইকেটে। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট জিতেছিল ২৮০ রানে। দুই টেস্ট ম্যাচ জিতে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। এখন দুই দল তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-২০। ৯ অক্টোবরে দিল্লিতে দি¦তীয় এবং ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ। কানপুর টেস্টটি কার্যত সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ধরা হচ্ছে। যদিও সাকিব শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু বিসিবি নিরাপত্তা দিতে অপারগতা জানায়। এরপরই দেশের মাটিতে সাকিবের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। গতকাল রাতে কানপুর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যাওয়ার কথা তার। শেষ টেস্টে রান করেন ৯ ও ০ এবং উইকেট নিয়েছেন ৪টি। প্রথম দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৩৫ ওভার। টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেট ১০৭ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন খেলা হয়নি বৃষ্টিতে। তখন মনে হয়েছিল নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে টেস্ট। কিন্তু না টাইগার ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় হেরে গেছে। শেষ দুই দিন টাইগারদের ব্যর্থতা ও রোহিত বাহিনীর জয়ের তীব্র আগ্রাসনে উইকেটের পতন হয়েছে ৩০টি! বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে রান করেছে ২৩৩। এর মধ্যে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক। এটি তার ৬৫ টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩তম সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি। আরেক সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ১১টি। স্বাগতিকরা ৫২ রানের এগিয়ে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগাররা অলআউট হয় ১৪৬ রানে। সাদমান ৫০ রান ও মুশফিকুর রহিম ৩৭ রান করেন। ফলে জিততে রোহিত বাহিনীর টার্গেট দাঁড়ায় ৯৫। বাঁ হাতি ওপেনার ইয়াশভি জয়সোয়ালের ৫১ ও বিরাট কোহলির অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জিতে নেয় ভারত। গ্রিন পার্কে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে ৮২ রানের বেশি তাড়া করে জয়ে রেকর্ড ছিল না। স্বাগকিদের টাইগাররা টার্গেট দেয় ৯৫ রান। সেটা করে নতুন রেকর্ড গড়ে ভারত। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া টার্গেট ৮২ রান ১৮.২ ওভার টপকে যায় ২ উইকেট হারিয়ে। কানপুরে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এখন ৪টি।
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬২ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে জিতেছিল ভারত। ১৯৫২ সালে ভারতের ছুড়ে দেওয়া ৭৬ রান ইংল্যান্ড টপকে ছিল ২ উইকেট হারিয়ে।