প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো দেবে। সেগুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এর পর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফার সংলাপ শেষে গতকাল রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনি রোড ম্যাপের ব্যাপারে যে আলাপটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ছয়টা কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বাকিটা দু-এক দিনের মধ্যে ঘোষণা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ছয়টি কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলবে, তাদের তিন মাসের টাইমলাইনের মধ্যে। এর পর তিন মাসের মধ্যে একটা রিপোর্ট দেবেন। প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আবার উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এর পর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়। তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনি কাজগুলো এগিয়ে যাবে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। কারণ ঐকমত্যটা রিফর্মের ব্যাপারে রিচ হলে যাতে খুব দ্রুত নির্বাচনটা দিয়ে দেওয়া যায়। শফিকুল আলম বলেন, এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না। প্রসিডিওরটা কীভাবে হবে তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
গণহত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় নয় : এদিকে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। মাহফুজ বলেন, প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। জনআকাক্সক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রসংস্কার করা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘যে যেখান থেকে গণহত্যায় জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ সময় শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া গুম কমিশনেও অভিযোগ জমা পড়েছে, সেসব নিয়ে কাজ চলছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরবে, সরকার এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক বলেও দাবি করেন তিনি।