কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ হলো ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। দেশে পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যে দামের ব্যবধান অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য ২-৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিশ্বের কোনো দেশেই এর চেয়ে বেশি পার্থক্য থাকে না। কিন্তু আমাদের দেশে সিন্ডিকেট করে এই ব্যবধান বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। জামিল চৌধুরী বলেন, ১০ টাকা দামের পানির বোতল ২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ এক লিটার পানি বাজারজাত করতে খরচ হয় সাড়ে সাত টাকা। এখানে উৎপাদন খরচের তিন গুণ লাভ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ডিম, পিঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এতে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের ২৮টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। এই বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস দেশব্যাপী উৎপাদন বন্ধ ছিল। উৎপাদন স্বাভাবিক হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে উৎপাদন বন্ধ রেখে সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তদারকির জন্য প্রত্যেক উপজেলায় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আমরাও তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক না হয় তাহলে সরকার অ্যাকশনে যাবে। আমরা সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা ও সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি। ক্ষুদ্র পরিসরে বিভিন্ন কাঁচাবাজরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বসা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই বড় পরিসরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসা হবে। যারা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদেরও সেখানে ডাকা হবে।