যে কোনো মুহূর্তে ইসরায়েল-ইরান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কায় ভীতসন্ত্রস্ত দিন কাটাচ্ছেন ইসরায়েলি জনসাধারণ। এরই মধ্যে ইরানি হামলার আশঙ্কায় দলে দলে দেশ ছাড়ছেন তারা। সূত্র : আল জাজিরা, পার্স টুডে, রয়টার্স। ইসরায়েলি পত্রিকা দৈনিক মারিভের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজায় আগ্রাসন শুরু করার পর প্রথম সাত মাসে অন্তত ৪০ হাজার বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েল ছেড়ে চলে গেছেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরায়েল থেকে যেসব ইহুদি চলে গেছে এটি তার তুলনায় তিন গুণের বেশি। আগ্রাসন শুরুর আগে প্রতি মাসে ইসরায়েল ছেড়ে প্রায় ২ হাজার বসতি স্থাপনকারী চলে যেত। এখন যদি পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে যাতে ইসরায়েল ছেড়ে সহজেই এসব বসতি স্থাপনকারী চলে যেতে পারে এজন্য প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি বিদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। গত সাত মাসে বসতি স্থাপনকারীরা ৭০০ কোটি ডলার বিদেশে পাঠিয়েছে। এর পাশাপাশি বহু সংখ্যক ডাক্তার, বিজ্ঞানী, ফার্মাসিস্ট এবং উচ্চপ্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ ইসরায়েল ছেড়েছেন। পত্রিকাটি এই প্রক্রিয়াকে মেধা পাচার বলে উল্লেখ করেছে। গত মাসে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছিল, ২০২২ ও ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ইসরায়েল থেকে যত বসতি স্থাপনকারী চলে গিয়েছিল তার চেয়ে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইসরায়েল ছাড়ার হার নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে।
দক্ষিণ লেবাননে তীব্র লড়াই : দক্ষিণ লেবাননের রামিয়া গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে হিজবুল্লাহর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। গতকাল হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান সংঘাতে জাতিসংঘের আরও এক শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচ শান্তিরক্ষী আহত হলেন। এদিকে লেবাননে সামরিক আগ্রাসন জোরদারের অংশ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের ২৩ গ্রামের বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) বাসিন্দাদের আওয়ালী নদীর উত্তরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহ গ্রামগুলোকে অস্ত্রাগার ও আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহার করছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার দেইর বেল্লা, আল মাইসারা ও বারজা এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৭ জন। আর গতকাল ভোরে দক্ষিণ লেবাননের ছোট একটি শহর কেফার টেবনিতের কেন্দ্রে অবস্থিত পুরনো একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।