সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীরা’। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আলটিমেটাম দেন।
এ সময় তারা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারির জন্য তিন দিনের আলটিমেটাম দেন। সুপারিশ অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীদের ৩৭ বছর।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশসীমা বৃদ্ধির পক্ষে অন্যতম মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, এ সরকার আমাদের আবেগকে মূল্যায়ন করেছে। তারা একটি কমিশন গঠন করেছে। যেহেতু এই কমিশন আমাদের যুক্তি শুনে, কথা বলে, গবেষণা করে ৩৫ এবং ৩৭-এর একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, আমরা চাই সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক। তিনি বলেন, যদি তিন দিনের ভিতর এ সুপারিশ অনুযায়ী উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি স্বীকৃত প্রজ্ঞাপন দেওয়া না হয় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের বিছানা হবে রাজপথ। চাকরিতে প্রবেশসীমা ন্যূনতম ৩৫ রাখার পক্ষে কিছু যৌক্তিকতা পাঠ করে আল আমিন রাজু বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করা যায়। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর সঙ্গে সরকারের কোনো প্রকার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই কিন্তু সিদ্ধান্তটি খুবই জনকল্যাণমুখী। ফলে উপকৃত হবে কোটি কোটি শিক্ষিত যুবসমাজ, তার পরিবার, সর্বোপরি দেশের জনগণ। বর্তমানে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর, তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৫৫ বছর পর্যন্ত অনায়াসে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০, ৪৫ এমনকি ৫৫ বছর পর্যন্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ জামিল, সোনিয়া চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, লাবনী আনোয়ার প্রমুখ।