সরকারি উদ্যোগে ডিম, আলু, পিঁয়াজসহ ১০টি কৃষিপণ্য সুলভ মূল্যে পাবেন ভোক্তারা। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ২০টি স্থানে ট্রাকসেলের মাধ্যমে এসব কৃষিপণ্য দেওয়া হবে। সরকারের এ কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ১ কেজি আলু ৩০ টাকা, ১ ডজন ডিম ১৩০ টাকা, ১ কেজি পিঁয়াজ ৭০ টাকা, ১ কেজি কাঁচা পেঁপে ২০ টাকায় এবং ৫ কেজি বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি প্যাকেজ আকারে বিক্রি করা হবে। গতকাল রাজধানীর খাদ্য ভবনের সামনে ওএমএস’র (ওপেন মার্কেট সেল) বা খোলাবাজারে খাদ্য পণ্য বিক্রির এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ভোক্তারা যাতে সুলভ মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু পায় সেজন্য আমাদের এ প্রচেষ্টা। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করি। এ সময় কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ন্যায্যমূল্যে ডিম, আলু, পিঁয়াজ, সবজি যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি সেজন্য এ কার্যক্রম নিয়েছি। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ২০টি স্থানে ট্রাকসেলের মাধ্যমে এসব কৃষি পণ্য দেওয়া হবে। স্থানগুলো হলো- খাদ্য ভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ, মিরপুর-১০, বাসাবো, বসিলা, রায়ের বাজার, রাজারবাগ, মুগদা-উত্তর, মুগদা-দক্ষিণ, পলাশী মোড়, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, বেগুনবাড়ী, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা ও ঝিগাতলা।
কোথায় চাঁদাবাজি হয় জানান : বাজারের প্রতিটি স্তরে সিন্ডিকেট আছে- সেটি দমনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি আপনাদের (সাংবাদিক) সহযোগিতা চাই। আপনারাই আমাদের গোয়েন্দা। আপনারা ইনভেস্টিগেশন করে আমাদের জানান, রাস্তায় কোথায় চাঁদাবাজি হয়, আমরা অবশ্যই সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেব। আমাদের গোয়েন্দা হলেন আপনারা। গতকাল সরকারিভাবে রাজধানীর ২০টি স্থানে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সচিবালয়ের পাশে খাদ্য ভবনের সামনে এ কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।