আদালতের নির্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী ওরফে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট ধূম্রজাল কাটাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাভার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূরের উপস্থিতিতে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকায় অবস্থিত জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদরাসার কবরস্থান থেকে লাশটি তোলা হয়। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরীর রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য কবর থেকে লাশ তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন, ‘বাবা একজন বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখানে যাকে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়েছিল তিনিই হারিছ চৌধুরী। বাবার মৃত্যুর পর আমি খুব ভয়ভীতির মধ্যে ছিলাম। পরিবারের সহায়তা পাইনি। কারণ ১৫ বছর আমার পরিবারের ওপর অনেক অত্যাচার চলেছে। বাবাকে দাফনের জন্য আমি পাগলের মতো জায়গা খুঁজতে থাকি। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকেই বলেছিলেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের জন্য। আমি রাজি হইনি। পরে আমার মধ্যে জিদ চেপে যায়। আমার বড় মামা নানুর জন্য এ মাদরাসায় জমি দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাবাকে এখানে দাফন করা হয়।’ সামিরা তানজিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকার আমার বাবাকে গ্রামে নিয়ে দাফন করতে দেয়নি। তারা মানতে চাননি মাহমুদুর রহমানই আমার বাবা হারিছ চৌধুরী। পরে বাবার মৃত্যুসনদ চেয়ে আবেদন করা হলে সেটি দেয়নি। অনেকেই বলছেন হারিছ চৌধুরী মারা যাননি। গা ঢাকা দিয়ে আছেন। যাচ্ছেতাই বলা হচ্ছে। বাবার মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল থাকতে পারে না। একজন ভালোমানুষকে “ক্রিমিনাল” সাজানো হয়েছে। সত্যি লুকিয়ে রাখা যায় না। এখন এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’ আদালতের নির্দেশে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তাঁর পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফল, মৃত্যুসনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিস থেকে বাবার নাম মুছে ফেলা এবং তাঁকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি। জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান কাসিমি বলেন, ‘২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মাদরাসায় দাফন করা হয়। ওই দিন বাদ আসর আমি তাঁর জানাজার ইমামতি করি। দাফনের সময়ও আমি উপস্থিত ছিলাম। আমাদের দেওয়া ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, জন্মসনদ এবং পাসপোর্টে মাহমুদুর রহমান লেখা ছিল। এর এক বছর পর পত্রিকার খবরে জানতে পারি মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী। এ ঘটনার পর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এখানে এসে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আমরা বলেছি এখানে মাহমুদুর রহমানকেই কবর দেওয়া হয়েছে।’ ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান নামে যে লাশটি এখানে দাফন করা হয়েছিল সেটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর কি না তা নিশ্চিতের জন্য আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে।’
শিরোনাম
- রাষ্ট্রের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও সংস্কার জরুরি : নুর
- ডুয়েটের ১৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
- বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার
- ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল গঠন
- সোনারগাঁয়ে যুবককে পিটিয়ে পা ভাঙার অভিযোগে মামলা
- মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
- রাজধানীতে র্যাব পরিচয় দেওয়া ৫ ডাকাত গ্রেফতার
- মধ্যরাত থেকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা
- অন্তর্বর্তী সরকার একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- বেনাপোল দিয়ে এলো ৪৬৮ টন আলু
- শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের
- সকাল ৯টার মধ্যে হাজিরা না দিলে শাস্তি হবে ওয়াসায় কর্মরতদের
- ‘দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই’
- ট্রিপল মার্ডার মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতা ঢাকায় গ্রেফতার
- ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে’
- পাহড়ে মাশরুম চাষে সফল উদ্যোক্তা হারুন
- ‘বেশি দরদ লাগলে হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করুন’
- বাগেরহাটে সবজি-মাছে স্বস্তি মিললেও চাল-আলুতে অসস্তি
- গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল