আগামী রবিবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৫৪ বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ বিষয়ে গতকাল প্রধান বিচারপতির পৃথক আদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, হাই কোর্ট বিভাগের ১৫ বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। জানা গেছে, এর মধ্যে তিন বিচারপতি দুর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে পাঁচ বছর ধরে এজলাসের বাইরে রয়েছেন। অন্য ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইনজীবীদের আলটিমেটামের মুখে। এ ১২ বিচারপতির বিরদ্ধে ‘দলবাজি, দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্টদের দোসর’ হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছর ৪ আগস্ট সর্বশেষ ৫৩ বেঞ্চে বিচারকাজ হয়েছিল হাই কোর্টে। পরদিন ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এরপর বিভিন্ন কারণে হাই কোর্ট বিভাগে আর বিচারকাজ শুরু হয়নি। এক পর্যায়ে ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। তারপর নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়।
নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর ১২ আগস্ট আট বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হয়। পরদিন আরও এক বেঞ্চ বাড়িয়ে নয় বেঞ্চ গঠন করা হয়। এর মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর ১৮ আগস্ট থেকে হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৫১ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সব শেষে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয় হাই কোর্টে। এর মধ্যে দুজনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিনভর আন্দোলনের পর বিকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জানান, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর অর্থ তাঁদের বিচারকাজ থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। এরপর আন্দোলন কর্মসূচি রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করেন ছাত্ররা।