বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হঠাৎ আপনারা আনুপাতিক ভোটের নির্বাচনকে সামনে এনে জটিলতা তৈরি করবেন না। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে জটিলতা তৈরি মানে, স্বাধীনতা বিরোধীদের মদদ দেওয়া, আপনারা সুপরিকল্পিতভাবে কোনো জটিলতা তৈরি করবেন না। পৃথিবীর অনেক দেশ এ পদ্ধতি চালু করে ফিরে এসেছে। নেপাল চালু করেছিল, সেখানে এলোমেলো হয়ে গেছে- এমন মন্তব্য করেন।
গতকাল জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. শামীম, ডা. কাকনসহ জেডআরএফ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, একটা নতুন পদ্ধতি তৈরি করতে হলে সমাজ এবং জনগণের আকাক্সক্ষার মিল থাকতে হবে। সুশীল সমাজ এটার ওপর বক্তব্য রাখছেন, আর এটার ওপর ভিত্তি করে আপনারা যদি মনে করেন এটা সঠিক, তাহলে নির্বাচনব্যবস্থা আরও ভেঙে যাবে। এখন এই আনুপাতিক পদ্ধতিটা বুঝতেই চলে যাবে ৫-১০ বছর। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার বসে নেই। বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী দেশের একটা স্টেটমেন্ট দেখেছেন, তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছে- ‘শেখ হাসিনা সেখানে আছে, সেখানেই থাকবে।’ ভারতের সঙ্গে তো আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যর্পণ বিষয়টি সমাধান করতে পারে, এই সরকার তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। রিজভী আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে না আনা হলে বাংলাদেশে যত শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে তারা সেখানে (ভারতে) আশ্রয়ের সুযোগ নেবে। বিভিন্ন দেশে এভাবে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রত্যেকটা দল সমর্থন করেছে। এটা গণতন্ত্রকামী মানুষের সমর্থিত সরকার। আপনাদেরকে জনগণের অন্তরের ভাষাটা আগে বুঝতে হবে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এখনো স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। গতকাল হঠাৎ করে ৫০-৬০টি জেলায় বিদ্যুতের শাটডাউন করা হয়েছে। এরা কারা? আমরা প্রায়দিনই বলেছি, স্বৈরাচারের দোসররা ভিতরে আছে, এরা নাশকতা করবে। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সংস্থাটি গঠন করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। গ্রামেগঞ্জে আলো ছড়িয়ে দিতে এবং কৃষি উৎপাদনের জন্য মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। যেহেতু এটি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত করেছেন এটি ধ্বংস করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা এ নামটি রাখতে চায় না। গতকাল যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা কয়েকবার বলেছি। তাদের দাবিদাওয়া থাকলে সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন করতে পারত। সেটি না করে গতকাল শাটডাউন করল কেন? কারণ এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, এটি নাশকতা।