শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
শীতের আগে

ত্বক প্রস্তুতি

ত্বক প্রস্তুতি

বিকালে মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস। গভীর রাতের হিমেল হাওয়ায় নিজেকে গুটিয়ে রাখা, ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ- এ রকম প্রকৃতির নানা আচরণেই বোঝা যাচ্ছে, শীতের আগমনী বার্তা বইছে। সামনেই আসছে শীত। শীতকাল এলেই আমাদের সবার বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়। পরিবারে নবজাতক থেকে শুরু করে বুড়ো পর্যন্ত সবারই আলাদা আলাদা যত্ন নিতে হয়। কিছু সহজ বিষয় মেনে চললে বিভিন্ন রোগবালাই ও অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ফেটে যায়। ঘরের ভিতর এবং বাইরের তাপমাত্রায় পার্থক্য থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বক নিষ্প্রভ দেখায়। তাই যত্ন নিতে শুরু করুন ত্বকের। জানাচ্ছেন- ফেরদৌস আরা

 

আমাদের ত্বকের ধরন মূলত জন্মগতভাবেই নির্ধারিত হয়। ত্বকের এই ধরন কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। তাই আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, প্রতিদিন নিয়ম করে ত্বক পরিষ্কার করুন। এরপর গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনিং করে এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আপনার ময়েশ্চারাইজারে যদি সান প্রটেকটিভ ফ্যাক্টর না থাকে, তবে আপনি অবশ্যই আলাদাভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আপনার বয়স যদি পঁচিশ হয়ে থাকে, প্রতি মাসে নিয়ম করে ফেসিয়াল করুন।

আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময়টাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি। তবে কেমিক্যালযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে হালকা গরম পানিতে মুখ ধোয়াটাই ভালো। থার্মাল শকের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সোপ-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। ক্রিম ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন।

 

নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন

আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময়টাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক লাগে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। তবে কেমিক্যালযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মাইল্ড ফেসওয়াস দিয়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে মুখ ধোবেন। থার্মাল শকের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সোপ-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্রিম ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন।

 

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুন

আবহাওয়ার তারতম্যে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সারাদিন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে থাকতে চাইলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার। এটা ঠাণ্ডা বাতাস থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ক্রিমের মতো ঘন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণ ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।

 

ত্বক নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করুন

শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই ত্বকের ওপর মরা কোষ জমতে থাকে। তাই ত্বক নিষ্প্রভ, অনুজ্জ্বল দেখায়। স্ক্র্যাবিং করলে মরা কোষ ঝরে যায়। ত্বক বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ত্বকের ভিতর ময়েশ্চারাইজার ভালো মতো প্রবেশ করতে পারে। ছোট ছোট দানাযুক্ত স্ক্র্যাবার ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হবে না। অ্যালকোহল বেসড টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করবেন না।

আরও কিছু দিক

সারাদিন বাইরে থাকলে ধুলাবালি জমে মুখের ত্বকে। আবার শীতে যেহেতু বার বার পানির ঝাপটা দেওয়া যায় না, ফলে ফেসিয়াল ওয়াইপস এ সময় কাজে লাগাতে পারেন। এর মাধ্যমে মুখ পরিষ্কার থাকবে, মেকআপও লেপ্টে যাবে না। ঠাণ্ডারও ভয় নেই।

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা সাধারণত ময়েশ্চারাইজার লোশন থেকে দূরে থাকেন। এটিও ঠিক নয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পানিযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। অন্যথায় ত্বক রুক্ষ থেকে যাবে।

এ ছাড়া শীতের সময় ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য পাকা কলা পেস্ট করে লাগাতে পারেন। চাইলে কাঁচা হলুদের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল,  প্রাণবন্ত ত্বক পেতে ভিতর থেকেই এর পুষ্টি জোগাতে হবে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণে তাজা খাবার, পর্যাপ্ত পরিমাণে হলুদ ও কমলা সবজি, যাতে বিদ্যমান রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন এবং সালফার সমৃদ্ধ খাবার যেমন- রসুন, পিয়াজ, অ্যাসপ্যারাগাস ও ডিম। আরও খাবেন তাজা ফল, বীজ, মটরশুঁটি জাতীয় সবজি ও বাদাম এবং অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় মধু সংযোজন করুন। মধুর প্রাকৃতিক প্রতিষেধক ত্বকের অভ্যন্তরীণ ক্ষত সারায়। এ ছাড়াও আখের রস, দুধ ও ঘি খাবেন।

এ সময়ে ত্বক যেহেতু খুব দ্রুত এর আর্দ্রতা হারায়, তাই এই আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ গরম দুধে চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ ঘি মিলিয়ে পান করুন। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে একটা লেবু চিপে পান করুন। এটি একটি চাইনিজ থেরাপি। এই লেবু-পানি শরীরের সেই আবর্জনাকে বের করে দেয়, যা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ফাটার জন্য দায়ী।

বিষাদগ্রস্ততাকে ঝেড়ে ফেলুন, কেননা আপনি যতই রূপচর্চা করুন না কেন, এই বিষাদগ্রস্ততাই আপনার কোমল ত্বকে বলিরেখা হয়ে দেখা দেয়।

সব মিলিয়ে আপনার প্রস্তুতিই আসছে শীতে আপনাকে রাখবে শতভাগ প্রাণবন্ত ও সজীবতার কেন্দ্রে।

বিকালে মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস। গভীর রাতের হিমেল হাওয়ায় নিজেকে গুটিয়ে রাখা, ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ- এ রকম প্রকৃতির নানা আচরণেই বোঝা যাচ্ছে, শীতের আগমনী বার্তা বইছে। সামনেই আসছে শীত। শীতকাল এলেই আমাদের সবার বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়। পরিবারে নবজাতক থেকে শুরু করে বুড়ো পর্যন্ত সবারই আলাদা আলাদা যত্ন নিতে হয়। কিছু সহজ বিষয় মেনে চললে বিভিন্ন রোগবালাই ও অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ফেটে যায়।  ঘরের ভিতর এবং বাইরের তাপমাত্রায় পার্থক্য থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বক নিষ্প্রভ দেখায়। তাই যত্ন

নিতে শুরু করুন ত্বকের। জানাচ্ছেন- ফেরদৌস আরা

 

> মডেল : নিকিতা, টুম্পা ও দোয়েল > মেকওভার: ফর ইউ বিউটি পার্লার > ফটোগ্রাফি: রনি রেজাউল

> মডেল : মেরিন > মেকওভার : সানজানা হোসাইন > ফটোগ্রাফি : রনি রেজাউল

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর