শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
জেনে রাখুন

এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি

ডা. আ প ম সোহরাবুজ্জামান, এমডি, এফসিপিএস, সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট, পরিচালক, কার্ডিয়াক ক্

এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি

ক্যাথ ল্যাবের পূর্ণ অর্থ ক্যাথেটারাইজেশন ল্যাবরেটরি। এই ল্যাবে হৃদয়ের ধমনি, শিরা এবং প্রকষ্ঠোগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেই সঙ্গে কোনো অস্বাভাবিকতা পাওয়া গেলে তার চিকিৎসাও করা হয়। এখানে এনজিওগ্রাম এবং এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে হৃদয়ের ধমনির চিকিৎসা করা হয়।

হৃদয়ের কোনো রোগের কারণে এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করবেন?

প্রধানত দুটি; ১. অ্যানজাইনা বা বুকে ব্যথা হলে  ২. হার্ট অ্যাটাক হলে

করোনারি এনজিওগ্রাম (CAG) কি?

করোনারি এনজিওগ্রাম হৃদরোগ নির্ণয়ের সফল প্রক্রিয়া। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসক ধমনিগুলোর সঠিক অবস্থা জানতে পারেন। যা সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতিতে উরু (ফেমোরাল ধমনি) অথবা হাতের বাহু (রেডিয়াল ধমনি)-তে ছোট ছিদ্র করে একটি সরু টিউব বা ক্যাথেটার রক্তনালিতে প্রবেশ করানো হয় এবং এক্স-রে মনিটরের মাধ্যমে ধমনির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। CAG-এর মাধ্যমে জানা যাবে আপনার হৃদরোগের পরবর্তীতে কি ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন।

যেমন : শুধু ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা, এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে চিকিৎসা, বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা ইত্যাদি।

 

 

করোনারি এনজিওপ্লাস্টি (PTCA) কি?

করোনারি এনজিওপ্লাস্টিকে সংক্ষেপে PTCA (পারকিউটেনিয়াস ট্রান্স লুমিনাল করোনারি এনজিওপ্লাস্টি)। এই চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর সরু হয়ে যাওয়া ধমনি খুলে দেওয়া হয়। যার ফলে রক্ত চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়, এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, বুকেব্যথা, শ্বাসকষ্ট কমে আসে।

কিভাবে এনজিওপ্লাস্টি করা হয়?

এই পদ্ধতি অনেকটা এনজিওগ্রামের মতো, এই পদ্ধতিতে ধমনিতে ক্যাথেটারের মধ্য দিয়ে একটি সরু তার বেলুন সহকারে প্রবেশ করানো হয়। সেই বেলুনটিকে করোনারি ধমনির ব্লকের জায়গাতে নিয়ে গিয়ে ফুলিয়ে দেওয়া হয়। বেলুনের চাপে সরু ধমনি প্রসস্থ হয়ে যায়। তখন সেখানে বিশেষ ধরনের তৈরি একটি স্টেন্ট বসিয়ে দেওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে ধমনি বন্ধ না হয়ে যায়।

এনজিওগ্রাম এবং এনজিওপ্লাস্টির ঝুঁকিসমূহ

অধিকাংশ রোগীর যাদের এনজিওগ্রাম করা হয় তাদের কোনো সমস্যা হয় না। উরুসন্ধিতে রক্তপাত, এটা সাধারণত যে স্থানে নলটি ছিল সেখানে চাপ দিয়ে বন্ধ করা হয়। পায়ের উপরিভাগে হালকা লাল হয়ে যাওয়া, এটা এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।

অনেকের ক্ষেত্রে এক্স-রে ডাই থেকে এলার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে এ ব্যাপারে ডাক্তারকে অবহিত করা উচিত।

সর্বশেষ খবর