শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শীতপোশাকে বৈচিত্র্য

শীতপোশাকে বৈচিত্র্য

►মডেল : সোহেল সিরাজ, রাহা ও শ্যারন►পোশাক : মন্টে কার্লো ►ছবি : নেওয়াজ রাহুল ►মেকওভার : ওমেন্স ওয়ার্ল্ড

শীত শীত রব সবখানেই। শুরু হয়ে গেছে শীতের আনাগোনা। রাতে হালকা শিশিরে ভিজে যাচ্ছে পথ-ঘাট। শহরে এখন ভোর আর রাতে দেখা যায় হালকা কুয়াশা। প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে তারুণ্যের শীতপোশাকে। রং-ঢং আর কাট-ছাঁটের পাশাপাশি পোশাকের নকশায়ও  পরিবর্তন এসেছে। ওয়েস্টার্ন ধারা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে এসব শীতপোশাক। বিশেষ করে মেয়েদের সোয়েটার। লং লেন্থ আর স্ট্রাইপ সোয়েটার সবার পছন্দের শীর্ষে। তাই শীত উপযোগী পোশাক কিনতে শুরু করেছেন অনেকেই।

শুরু হয়ে গেছে শীতের আনাগোনা। হালকা হলেও শীতের দাপট যেন ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। রাতে হালকা শিশিরে মাঠ ভিজে যাচ্ছে। শহরে এখন রাত বাড়তেই দেখা যাচ্ছে হালকা কুয়াশা। ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে শীতকাল সব সময়ই একটি আকর্ষণীয় ঋতু। অবশ্য প্রয়োজনের তাগিদেও এ সময় নতুন গরম পোশাক কিনতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পোশাকে লাগছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে তারুণ্যের শীতপোশাকে। রং-ঢং আর কাট-ছাঁটের পাশাপাশি পোশাকের নকশায়ও এসেছে পরিবর্তন। ওয়েস্টার্ন ধারা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে এবারের শীতপোশাক।

হাল ফ্যাশনে শীত উপযোগী পোশাক সম্পর্কে ফ্যাশন হাউস ‘মন্টে কার্লো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. কামরুজ্জামান দিপু বলেন, ‘তারুণ্যের ফ্যাশন শীতপোশাকে এবার থাকছে দারুণ বৈচিত্র্য। ‘পাশ্চাত্য ধারা অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এসব শীতপোশাক। বিশেষ করে মেয়েদের সোয়েটার। দৈর্ঘ্য একটু বেশি ও স্ট্রাইপ সোয়েটার এবার বেশি চলছে। সোয়েটারের গলায় ওভার ফ্লিপ ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।’

তরুণদের পছন্দ অনুযায়ী এবারের শীতের কালেকশনে এসেছে নান্দনিক রং আর ডিজাইনের বাহারি সব সোয়েটার।

ইদানীং জিন্স-টপসের মতো পশ্চিমা পোশাকগুলোর দিকে ঝুঁকছে। এ ছাড়া পোশাকের কাটিংয়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। শীতের জন্য এসেছে কোয়ার্টার কিংবা ফুলহাতার পোশাক। এ মৌসুমে দিনের বিভিন্ন সময়ে তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম। দুপুরে গরম, সন্ধ্যায় শীতের আমেজ। এদিকে খেয়াল রেখে মেয়েদের শাল বা চাদরেও এসেছে নতুনত্ব। আর ছেলেদের জন্যও এসেছে নান্দনিক ডিজাইনের সব শীতপোশাক। টি-শার্ট ও শার্টের ওপর পরার জন্য হাতাকাটা সোয়েটার মানানসই। মধ্যে কুঁচি দেওয়া, চুড়িদার হাতা তরুণীদের পছন্দ। এবার সম্পূর্ণ আঁটসাঁট নয় বরং একটু ঘের দেওয়া, ঢোলা শীতপোশাকের বেশ চল দেখা যাচ্ছে। নিট কাপড় দিয়েই মূলত তৈরি হয়েছে এসব সোয়েটার। এ ছাড়া পশমি উলের, ক্রুশ কাজের সোয়েটারও পরছেন অনেকে। তবে সোজা কাটের প্যান্ট বা জিন্সের সঙ্গে পরতে পারেন ব্লেজার ও কোট। মেয়েদের ব্লেজারের দৈর্ঘ্য কোমরের ওপর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। এর নিচের দিকে ফিতা দিয়ে নকশা করা হয়েছে, যাতে ফিটিং ভালো হয়। নকশায় আরও ব্যবহার করা হয়েছে ছোট ছোট পাথর। মনটে কারলো’র শীতপোশাকের বিশেষ আয়োজনে এ বছর থাকছে মেয়েদের সোয়েটার, হুডি, কার্ডিগান, টপস, কোট ইত্যাদি। ছেলেদের শীতপোশাকে এবারও জনপ্রিয় জ্যাকেট। এ ছাড়া ছেলেদের শীতপোশাকেও থাকছে নিত্যনতুন কালেকশন। ফ্লিস কাপড়ের নানা রঙের জ্যাকেট পরছে তরুণরা। কালো, গাঢ় মেরুনের পাশাপাশি কালো-হলুদের মিশ্রণ, বেগুনি, হলদে সবুজাভ রঙের চামড়ার জ্যাকেট চলছে বেশি। হাইনেক ও হুডি জ্যাকেটে নজর কাড়তে বাড়তি পকেট যুক্ত করা হয়েছে। দুই স্তরবিশিষ্ট চামড়ার জ্যাকেটও কিনছেন অনেকে। অফিস মানেই স্যুট-কোট পরতে হবে, তা নয়। ফুলহাতা শার্ট-টাই সঙ্গে সোয়েটারও পরতে পারেন। এসব সোয়েটারের গলা প্রশস্ত হতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে

ভি-আকৃতির ডিজাইন করা সোয়েটার পরতে পারবেন। তবে ব্লেজার বা কোট পরার সময় শরীরের গঠন ও মুখের গড়ন বিবেচনা করা উচিত। উচ্চতা কম হলে স্ট্রাইপ ব্লেজার পরা ভালো। এক রঙের চেক ব্লেজার বেশি মানানসই যাদের উচ্চতা বেশি।

শীতের এসব পোশাক দেশের সব ধরনের ফ্যাশন আইটলেটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। দাম পড়বে ৯৫০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত।

মেয়েদের শীতপোশাক পাবেন ১০০০ থেকে ৬৫০০ টাকায়। একটু ঘুরে ও দরদাম করে কিনলে ৭০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় আপনার পছন্দের শীতের পোশাকটি কিনতে পারবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর