শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
জেনে রাখুন

শর্করা নিয়ন্ত্রক খাবার

শর্করা নিয়ন্ত্রক খাবার

শর্করা খাবারের নানা দিক অপেক্ষা সাদা ভাত, সাদা ময়দার রুটি, আঁশবিহীন চিনি, শর্করা সমৃদ্ধ বেকারি বিস্কুট, চিপস ইত্যাদি খাবার মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার আগে পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের মিশ্রণ ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী। পাশাপাশি ডায়াবেটিস নেই বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমায়। অপরদিকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ানোর পেছনে দায়ী দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ কমাতে সহায়ক গ্রিন-টি। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস এবং এ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি দেয় এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানিয়েছেন ভারতের কয়েকজন খাদ্য বিশেষজ্ঞ।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার : স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় অনেকদিন ধরেই জায়গা দখল করে আছে। এতে থাকা এসিটিক অ্যাসিড পাকস্থলীর নির্দিষ্ট কিছু এনজাইম ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে।

দারুচিনি : টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কার্যকর। পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজ, কোলেস্টেরল ও ট্রাই-গ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরের জন্য ভালো ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক এটি। 

লেবুজাতীয় ফল : ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে প্রায়শ ভিটামিন-সি’র অভাব দেখা যায়। তাই অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর লেবুজাতীয় ফলগুলো খেতে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে। সাপ্লিমেন্ট বা বিকল্প হিসেবে ভিটামিন-সি ট্যাবলেট লোভনীয় মনে হতে পারে। তবে যেহেতু প্রাকৃতিকভাবেই ফলমূলে থাকে কম চর্বি, বেশি আঁশ এবং আরও অনেক পুষ্টিগুণ, তাই এ ক্ষেত্রে ফলই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।

গ্রিন-টি : গ্রিন-টি পান করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ানোর পেছনে দায়ী দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ প্রশমিত করে। শরীরের শর্করা শোষণ করার ক্ষমতাও বাড়ায়। এই চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভানয়েড যা শক্তিশালী প্রদাহরোধকারী।

মেথি : টাইপ ওয়ান ও টু দুই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী, এমনকি ডায়াবেটিস নেই এমন ব্যক্তিরও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক আরেকটি উপাদান এই মেথি। মেথি বীজে থাকা আঁশ কার্বোহাইড্রেটের হজম প্রক্রিয়া মন্থর করতে সহায়ক। ট্যাবলেট হিসেবে, চা ও বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে মেথি খাওয়া যেতে পারে।

বাদাম : বাদামে মিলবে প্রচুর টোকোট্রাইনোলস। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে।

রসুন : কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক। ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে থাকা ইনসুলিনের পরিমাণও বাড়াতে পারে রসুনের নির্যাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর