চলছে শীত মৌসুম। আসছে শৈত্যপ্রবাহ! ঠাণ্ডা মৌসুমে আলসেমি ভর করে বসে। শীতের এই সময়ের দিনগুলোতে সাধারণ কিছু অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হিম ঠাণ্ডায় সকালে কম্বলের উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাহানার শেষ নেই। এ কারণে প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনেও ব্যাঘাত ঘটে। পাশাপাশি চা বা কফি খাওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এরকম প্রতিটি অভ্যাসই বেশ ক্ষতিকর। শীতের সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির কিছু ক্ষতিকর অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

০. শারীরিক ব্যায়াম : শীতের সকালে ঘুম বাদ দিয়ে ব্যায়াম না করা মোটেও সুখকর কোনো বিষয় নয়। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম বাদ পড়ে যায় এই সময়ে। সকালে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই শীতের সকালেও কষ্ট করে ব্যায়াম করলে সারাদিন ফুরফুরে লাগবে।

০. অতিরিক্ত ঘুম : অন্য মৌসুমের চেয়ে শীতের সময় সাধারণভাবেই ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, একইভাবে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের ক্ষতি করে।

০. অতিরিক্ত আহার থেকে বিরত থাকা : খাওয়ার জন্যও বেশ উপযুক্ত সময় শীতকাল। তৈলাক্ত বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে গরমে যেমন অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে সেই সম্ভাবনা এই মৌসুমে অনেকটাই কম। তাই নিয়মিত ডায়েটেও ব্যাঘাত ঘটে। শরীরে ক্যালরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণেও লাগাম টানতে হবে।

০. গরম পানির ব্যবহার : শীতে ঊষ্ণ পানিতে গোসল বেশ আরামদায়ক। তবে দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল করলে ক্ষতিও হতে পারে। অতিরিক্ত গরম পানি পরিহার করুন। গরম পানি ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি সব থেকে ভালো।

০. সতর্কতা 

* প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরিধান করুন। শীতে কান ও গলা সবসময় ঢেকে রাখুন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার করুন।

* শীতের সময়ে ভাইরাসজনিত রোগের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই যথাসম্ভব  ভাইরাসজনিত অসুখে আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকুন।

* খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠাণ্ডা পানি বা খাবার খাওয়া পরিহার করলে বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

* ধুলাবালি পরিহার করতে হবে, অতিরিক্ত গরমে যাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে চলতে হবে। ঘাম হলে মুছে ফেলুন।