শীতকালে গোড়ালি ফাটার সমস্যা তো আরও বেড়ে যায়। আর সেই সমস্যার সময়মতো সমাধান না করলে ভোগান্তির শেষ নেই। ফাটা গোড়ালি থেকে অনেক রকমের ইনফেকশন, র্যাশ, পা ফেটে রক্ত পড়া ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রইল শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যার সমাধান।

বিশেষত শীতকালে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা প্রায় সবারই হয়। আর সেই সমস্যার সময়মতো সমাধান না করলে ভোগান্তি বেড়েই চলে। ফাটা গোড়ালি থেকে অনেক রকমের ইনফেকশন, র্যাশ, পা ফেটে রক্ত পড়া ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালের রুক্ষ শুষ্ক দিনেও নিজেকে পারফেক্ট রাখতে তাই ফাটা গোড়ালির যত্ন নেওয়াটা প্রয়োজন। প্রতিদিনের কর্ম ব্যস্ততায় পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর কিংবা পেডিকিউর করা হয়ে ওঠে না। তাই বাড়িতে বসেই সমাধান হলো উত্তম মাধ্যম। রইল ফাটা গোড়ালির যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া সমাধান।

পাতিলেবু, গ্লিসারিন ও গোলাপজলের প্যাক

একটি পাত্রে ঈষদুষ্ণ জল নিয়ে তার মধ্যে সামান্য লবণ, ১০ ফোঁটা পাতিলেবুর রস, কিছুটা গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এরপর সেই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ভিজিয়ে বসে থাকুন। এরপর পিউমিক স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতা ভালো করে ঘষে নিন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে স্ক্রাব করতে সাহায্য করবে। এর ফলে মৃত কোষগুলো চলে যাবে। এরপর পা ধুয়ে নিয়ে মুছে নিন। সবশেষে পাতিলেবুর রস, গোলাপজল ও গ্লিসারিন দিয়ে একটা স্টিকি প্যাক তৈরি করে পুরো পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিন।

ভেজিটেবল অয়েল

কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রেখে ভালো করে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর পা মুছে পুরো পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে ভালো করে ভেজিটেবল অয়েল লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালবেলা ভালো করে পা ধুয়ে নিলেই ফাটা গোড়ালি সমস্যার অনেকটা সমাধান পেয়ে যাবেন।

মধু

কুসুম গরম পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে তাতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রেখে দিন। এবার পিউমিক স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে ঘষুন। এতে মৃত শক্ত চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। মধু ত্বকের ময়েশ্চারাইজিং করতে সাহায্য করে এবং পা ফাটার সমস্যাও কমে যায়।

তিল তেল

রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে ভালো করে পা পরিষ্কার করে তিল তেল লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের শুষ্কতা অনেকটাই কমে যাবে এবং পা ফাটার সমস্যাও কমে যাবে।