শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে ডিনার করুন

ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে ডিনার করুন

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কী করেন? হলফ করে বলতে পারি, বেশির ভাগই বলবেন, টিভি দেখি, ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাই কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় মেতে থাকি। মোটকথা অ্যাক্টিভিটি লেভেল একেবারেই কম থাকে। আর তার সঙ্গে মেটাবলিজম রেট ও হজম করার ক্ষমতা। আমরা এখন বাড়ি ফিরেই ডিনার খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না। তখন চাই হালকা খাবার। আর সেটা যদি চিপস, চানাচুর কিংবা তেলেভাজা কোনো খাবার, তা হলে তো কথাই নেই। কিন্তু মনে হতেই পারে এতে অসুবিধার কী আছে? ঠিকই আপনার কোনো অসুবিধা হয়তো হয় না, কিন্তু পেটের হয়।

 

খাবার হজম করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কিন্তু ক্যালরি বার্ন হয়। রাতে শরীরের কোষগুলো অ্যানার্জি বা নিউট্রিয়েন্ট অ্যাবসর্ব করতে বেশি সময় নেয়। কারণ এ সময় অ্যানার্জির খুব একটা প্রয়োজনও হয় না। তাই পেটে বেশি চাপ পড়লে, সব খাবার তো হজম হয়ই না, উল্টো ফ্যাট হিসেবে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয়। আর সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস প্রচুর খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া। খালি পেটে যেমন ঘুম আসে না, ঠিক তেমনই বেশি খেলেও ঘুম ভালো হয় না।

আমরা যখন ঘুমাই বডিসেল রিপেয়ার্ড হয় (ঠিক যে কারণে আমরা রাতে মুখে দামি ক্রিম লাগাই), হরমোনাল ব্যালেন্স ভালো হয়, সেল রিজুভিনেশন হয়, পরের দিনের জন্য আমাদের শরীর তৈরি হয়। ঘুম ভালো না হলে হরমোন বা লিন টিস্যু ফ্যাট বার্নিং প্রসেসকে সাপোর্ট করতে পারে না। রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের কাজ একমাত্র ‘রিপেয়ার অ্যান্ড রিজুভিনেট’। এবার যদি বেশি খেয়ে ফেলেন, তা হলে শরীরের দোটানায় ভুগতে হয়। ফলে খাবারও ঠিকমতো হজম হয় না, সেল রিজুভিনেটও পুরোপুরি হয় না। ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে শুধু ক্লান্তই লাগে না, পেট ফুলে যায়, অ্যাসিডিটি হয়, ঢেঁকুড় ওঠে। ফ্রেশ আর হালকা লাগার বদলে ডাল আর হেভি লাগে।

 

তাই ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে খাওয়া কিন্তু লংটার্মের জন্য খুব ভালো। এতে শরীর শুধু ভালো থাকে না, ওজনও কমে। নিয়মিত ১০টা-সাড়ে ১০টার মধ্যে ঘুমাতে পারেন আর সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারেন। দেখবেন শরীর, মন, মেজাজে তার সুন্দর প্রভাব পড়ছে। সুতরাং নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্যাটার্নে একটু পরিবর্তন করুন। দেখবেন আপনার শরীর সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

সর্বশেষ খবর