শীত মৌসুমে ধুলোবালিতে একাকার হয় সবকিছুই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সময় ধুলো বেশি ছড়িয়ে যায় আসবাবের কোনায় কোনায়। এ ধুলাবালিই অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট ও চুলকানির মতো সমস্যার অন্যতম কারণ। তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা চাই সবসময়।
কিছু বিষয় খেয়াল করলেই ঘরে ধুলাবালির উপদ্রব কমে যাবে। সবার আগে নজর দিন আপনার রান্নাঘরে। কারণ এই ঘরই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বেশি জরুরি। এখানেই থাকে আপনার রান্নার সব জিনিসপাতি। রান্নাঘরের প্রধান সমস্যা হলো এখানে গ্যাসের ধোঁয়ায় সবকিছু আঠা আঠা হয়ে যায়। তাই প্রতি ১৫ দিনে দু-একবার প্রতিটি তাক ধুয়েমুছে ভালো করে তৈজসপত্র সাজিয়ে রাখা উচিত। একইভাবে থালাবাসনের র্যাক সাবান পানি বা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। রান্না ঘরের পরেই আসে খাবার ঘর। বাড়ির এই ঘরে সাধারণত খাবার টেবিল, ফ্রিজ, ওভেন, পানির ফিল্টার ইত্যাদি থাকে। মাসে একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত। এতে আপনার ফ্রিজ দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে। টেবিল চেয়ারগুলো প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছতে হবে। অবশ্যই প্রতিদিন খাবার শেষে টেবিলের ক্লথ বা কাপড় ঝেড়ে ফেলবেন। তাহলে পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকবে না। এরপরই আসে শোবার ঘরের কথা। বাড়ির এই রুমের বিছানা, বালিশ, তোশক, জাজিম প্রতিসপ্তাহে একবার রোদে শুকাতে দেওয়া উচিত। এই ঘরের আসবাবগুলো প্রতিদিন শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এ ছাড়া খাট, আলমারি, ওয়ার্ড্রোব নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। অনেক বাসাতেই আলাদা পড়ার ঘর থাকে। এক্ষেত্রে বাসার এ ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এ ঘরে পড়তেও মন বসে। এখানে সাধারণত পড়ার টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, বইয়ের তাক কম্পিউটার ইত্যাদি থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে দুই একদিন পরপরই এসব আসবাব ও বইপত্র পরিষ্কার করা উচিত। কম্পিউটারের টেবিল শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলার পাশাপাশি কম্পিউটারও পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস তাই মনিটরের ক্ষেত্রে স্ক্রিন ক্লিনার দিয়ে মুছতে পারেন। আর কি-বোর্ডের ফাঁকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করবেন।
মাঝেমাঝে সিপিও খুলেও মাদারবোর্ডসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার রাখবেন। ঘরের মেঝে টাইলসের হলে গরম পানি ডিটারজেন্ট দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করলে ঘর থাকবে ঝকঝকে। গরমকাল শুরুর আগেই সিলিংফ্যান ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার নিতে ভুলবেন না। আর জুতার র্যাক ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলা উচিত পরিবারের সবার জন্য। তাহলে ঘরে কম ময়লা হয়।