শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

গোছালো অফিসের অন্দর

সাইফ ইমন

গোছালো অফিসের অন্দর

অফিসের সৌন্দর্য দেখেই বোঝা যায়, সেই অফিসের রুচিবোধ ও কাজের ধরন। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্ভরতা তৈরিতে অফিসের সৌন্দর্যের একটা বড় ভূমিকা কাজ করে...

 

কথায় আছে আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। কথাটি যে কোনো অফিসের জন্য বেশ কার্যকরী। অফিসের অন্দর যদি সুন্দর হয় তবে কাজের সময় বাড়তি উদ্যম পাওয়া যায়। কাজের স্পৃহাও বাড়ে। তা ছাড়া অফিসের সাজসজ্জা দেখেই সেই প্রতিষ্ঠানের রুচিবোধ সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া যায়। তার ওপর যদি অফিসে নিয়মিত গ্রাহকের যাওয়া-আশা থাকে, তবে অফিসের সাজসজ্জা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটু সচেতন হলে অফিস সাজিয়ে রাখা যায়—আকৃতি ছোট-বড় যেমনই হোক। প্রত্যেক কর্মীর জায়গা থাকা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতেই ঠিক করা উচিত সবাই এক জায়গায় বসবেন নাকি সবার আলাদা কিউবিকল থাকবে।

 

মূলত কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে একটি অফিসের লে-আউট ডিজাইন করা হয়। তারপরও কিছু ব্যাপার থাকে যা মোটামুটি সব অফিসের জন্যই কমন। এ ক্ষেত্রে শুরুতেই বলা যেতে পারে রিসিপশন রুমের কথা। যত ছোটই হোক না কেন রিসিপশন রুম অবশ্যই রাখা উচিত। পরিসর ছোট হলে কখনো কার্পেট ব্যবহার করবেন না। এতে রুম আরও ছোট দেখাবে। খেয়াল রাখবেন রিসিপশনে যেন প্রতিষ্ঠানের লগো এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে। রিসিপশনের দেয়ালে রং করার সময় খেয়াল রাখুন প্রতিষ্ঠানের লগোর রঙের সঙ্গে কম্বিনেশন খাপ খেয়ে যায়। এতে স্মার্টনেস প্রকাশ পাবে। দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবহূত সোফার রং লগোর রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নির্বাচন করলে সুন্দর দেখাবে।

 

এবার আসি ভিতরের অংশে। ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানই চায় অফিস হবে আভিজাত্যময়। জায়গা কম হলে দেয়ালের রং ও আসবাব নির্বাচনে হতে হবে কৌসুলী। ছোট পরিসরকে বড় দেখানোর জন্য বেছে নিতে পারেন হালকা কোনো রং। এতে অফিসের জায়গা বড় দেখাবে। অফ হোয়াইট, লাইট গ্রিন, লাইট ইয়েলো, লেমন ইয়েলো ইত্যাদি এ জাতীয় রংগুলো দেয়ালের জন্য ভালো। আবার দেয়ালের রঙের প্রতি খেয়াল রেখে অফিসের আসবাবে ব্যবহার করতে পারেন কালো, খয়েরি, লাল বা গাঢ় কোনো রং। মাঝে মাঝে রাখতে পারেন নীল ও সবুজের ছোঁয়া। বিশেষ করে দেয়ালের রং যদি হয় অফ হোয়াইট তাহলে কালো রঙের আসবাব ব্যবহারে অফিস হয়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন।

আর অফিস রুমের কর্নারে রাখতে পারেন গাছের টব। এতে অফিসের জড় আসবাবে প্রাণ পাবে। কোনো জায়গা বড় দেখানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন কাচের দরজা ও পার্টিশান। মনে রাখবেন কাচ যে কোনো ধরনের অন্দরসজ্জায় দেবে ভিন্নমাত্রা।

 

অপেক্ষাকৃত বড় রুমগুলোকে কার্পেট দিয়ে সাজাতে পারেন। খেয়াল রাখবেন ছোট রুমের সাজটা কিন্তু ভিন্নতা পাবেই। এ ধরনের রুমে কার্পেট না ব্যবহার করাই ভালো। ছোট পরিসরে কার্পেট ব্যবহার করলে অফিস আরও ছোট দেখাবে। তবে উডেন ফ্লোরিং করলে দেখবেন অফিসের জৌলুস ফিরে আসবে। আজকাল অফিসের মেঝেতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন সব টাইলসের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এটা অবশ্য ভালো, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেমনই হোক না কেন, যেন পুরো অফিস টাইলসে সাজে। কোথাও একটু কম থাকলে দেখতে বাজে দেখাবে। অফিসের সৌন্দর্য নষ্ট হবে।

এই তো গেল অফিসের ফ্লোর ম্যাটের কথা। এবার আসা যাক কম্পিউটার ডেকোরেটেডে। এখন সব অফিসেই কম্পিউটার ডেস্ক ব্যবহার করা হয়। এজন্য ব্যবহূত বিভিন্ন ক্যাবল যেন কখনো আগোছালো না থাকে। বড় আসবাবের পরিবর্তে নিন ওয়াল কেবিনেট। যাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা যায়। ওয়াল কেবিনেট দেখতেও ভালো। যেহেতু অফিসে দীর্ঘক্ষণ থাকতে হয় তাই আরামদায়ক চেয়ার ব্যবহার করুন।

অফিসের আলোকসজ্জা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিউবিকল বা ডেস্কে যাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে। তবে প্রাকৃতিক আলোর বিকল্প নেই। অফিসের একদিকের দেয়াল কাচের হলে এ দিক দিয়ে ভালো কাজে আসবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর