শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঋতু পরিবর্তনে শিশুর যত্ন

ঋতু পরিবর্তনে শিশুর  যত্ন

ছবি : আর্কাইভ

শিশুরা স্পর্শকাতর হওয়ায় আবহাওয়ার এদিক-সেদিকে অসুস্থ হয় দ্রুত। বাবা-মাও পড়ে যান চিন্তায়। তখন ডাক্তার ওষুধ করিয়ে হয় তো সুস্থ করা যায়, কিন্তু এই ধাক্কায় তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যায়। অথচ এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে সচেতনতাই কিন্তু যথেষ্ট।

 

শীত শেষে গরম আসি আসি করছে। প্রকৃতিতে বইছে তাপময় হাওয়া। আর তাই তো শীত ঠেকাতে এখন সচেতনতা কম। গরম পোশাক পরার তাড়া নেই। এমন সময় আপনার ছোট শিশুটি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি জমে থাকার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অস্বস্তিতে শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ও বিরক্ত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব উপসর্গ ভাইরাসের আক্রমণের কারণে বা অ্যালার্জির কারণে হয়। এক সপ্তাহের মাথায় সেরেও যায়। সে জন্য এন্টিবায়োটিক দিয়ে শিশুর শারীরিক ক্ষতি বাড়ানোর চেয়ে সাধারণ যত্নআত্তির দিকেই জোর দেওয়া উচিত। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুকে সুস্থ রাখতে জেনে নিন ঘরোয়া কিছু কার্যকরী উপায়।

 

► আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ গুলে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করে নিন। বাজারে স্যালাইন নাকের ড্রপ কিনতেও পাওয়া যায়। এরপর একটি তোয়ালে বা কাপড় রোল করে শিশুর মাথার নিচে দিন। তাকে চিত করে শোয়ান। এবার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর পর দুই বা তিন ফোঁটা ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন।

► ড্রপ দেওয়ার পর কাত করে শুইয়ে দিলে তরল সর্দি বেয়ে পড়বে। এরপর টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। এক্ষেত্রে নাকে কটন বাড দেওয়া ঠিক নয়।

► দুই বছর বয়সের নিচে নাকের ডিকনজেসটেন্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা নিষেধ। ডিকনজেসটেন্ট জাতীয় ওষুধ নাকের শিরাগুলোকে সংকুচিত করে, এটি নাক দিয়ে পানি পড়া রোধ করবে না। তাই শিশুদের অনেক বেশি সর্দি লাগলেও এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়।

► গরমের সময় খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। শিশুকে খাবার খাওয়ানোর আগে ভালোভাবে পরখ করে নিতে হবে সেটি খাবার উপযুক্ত কিনা। নষ্ট খাবার শিশুকে খুব দ্রুত অসুস্থ করে দেয়। আবার ঠাণ্ডা খাবারও শিশুকে সর্দি লাগিয়ে দিতে পারে। তাই শিশুর খাবার-দাবারের প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

সর্বশেষ খবর