শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

চুলের যত্নে এসেনশিয়াল অয়েল

সুমাইয়া সিমি

চুলের যত্নে এসেনশিয়াল অয়েল

মডেল : সিঁথি ছবি : ফ্রাইডে

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যাই হোক, বছর জুড়ে সুন্দর চুলে চাই বাড়তি যত্ন। ইট-পাথরের শহুরে জীবনে চুলের শত্রুর তালিকায় বাতাসের শুষ্কতার পাশাপাশি আছে ধুলাবালি আর দূষণ। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এসব চুলকে সুস্থ করে তুলতে চাই প্রাকৃতিক নির্যাসের এসেনশিয়াল অয়েল।

 

প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে তৈরি এসেনশিয়াল তেল রান্নার জন্য তো বটেই, সঙ্গে ত্বক চুলের জন্য বেশ কার্যকরী। এই এসেনশিয়াল অয়েল রূপচর্চার অন্যতম গোপন রহস্য। অনেক বিউটি এক্সপার্টরাও এসেনশিয়াল অয়েলে ত্বক চুল চর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাধারণ তেলের তুলনায় এসেনশিয়াল অয়েলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে। তাই অল্প পরিমাণ ব্যবহারেই উপকার পাওয়া যায়। চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য ভিন্ন ভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল বেছে নিতে হবে। রইল এসেনশিয়াল অয়েলে চুল চর্চার পরামর্শ।

 

চুলে এসেনশিয়াল অয়েল

দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা দূর করতে এসেনশিয়াল অয়েলের গুণের কথা সবারই জানা। আবার চুলের যত্নেও এই তেল প্রাচীনকাল থেকে প্রসিদ্ধ। চুল পড়া বন্ধ, চুলের গোড়া মজবুত ও নতুন চুল গজানো, এমনকি স্ক্যাল্পের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতেও এসেনশিয়াল অয়েল বেশ কার্যকরি। এই তেলের মাসাজ মাথার ত্বককে সুস্থ করে গোড়া থেকে চুলের যত্ন নেয়।

 

আমন্ড অয়েল

চুল ভাঙা এবং চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে উপকারী কাঠবাদামের তেল। এই তেলে চুলের জন্য উপযোগী সব ধরনের উপাদান রয়েছে। যেমন—ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ফসফলিপিডস এবং ম্যাগনেশিয়াম। তা ছাড়া চুল ঝরঝরে ও মসৃণ করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক বাদাম তেল।

 

অলিভ অয়েল

চুলের আগা ফাটা এবং উষ্কোখুষ্কো চুলের অন্যতম সমাধান জলপাইয়ের তেল। এই তেল চুলের রুক্ষতা দূর করে সুস্থ করে তোলে। অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের যত্নে একটি ডিম, খানিকটা মধু ও চার টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে মাখিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে কন্ডিশনার লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

তিলের তেল

অকালেই চুল পেকে যাওয়া বা ধূসর চুলের সমস্যায় মুক্তি পেতে তিলের তেল উপকারী। ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স এবং ওমেগা নাইন সমৃদ্ধ তিলের তেল চুল ঘন ও ঝলমলে করে তোলার পাশাপাশি অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

তাছাড়া এই তেলের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মাথার ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের সমস্যা উপশমে সাহায্য করে। খুশকি বা অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রেও তিলের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

ল্যাভেন্ডার অয়েল

শুষ্ক মাথার ত্বক এবং খুশকি দূর করতে এই তেল দারুণ উপকারী। চুল সুন্দর করার পাশাপাশি এই তেল ব্যবহারে দুশ্চিন্তা কমে আসে। ল্যাভেন্ডারের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি উপকারী দিকের জন্যও বেশ পরিচিত। যে কোনো তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেল মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে, তাই চুলও মসৃণ হয়। চুলের যত্নের পাশাপাশি এই তেল অনিদ্রা দূর করতেও বেশ উপকারী। তা ছাড়া এই তেল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

 

এ ছাড়াও ইউক্যালিপটাস, টি ট্রি, গ্রেপ সিড, ম্যাংগো সিড, রোজ মেরি ইত্যাদি এসেনশিয়াল তেল পাওয়া যায়। এ ধরনের কনসেনট্রেটেড এসেনশিয়াল অয়েল সবসময় অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত।

সর্বশেষ খবর