শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

রঙিন করি চুল

রঙিন করি চুল

♦ মডেল : শারমিন স্মৃতি ♦ ছবি : রাহুল চৌধুরী

সাজের বেলায় রমণীরা একটু বেশিই সচেতন। কারও ছোট চুল পছন্দের কারওবা কোমর অবধি লম্বা। কৃষ্ণকালো চুলের চিরন্তন আকর্ষণের গল্প তো সবারই স্বপ্ন। কিন্তু ফ্যাশনের ধর্মই তো পরিবর্তন। যুগের সঙ্গে ফ্যাশনের ধরনটাই বদলে কৃষ্ণকালো চুলের পরিবর্তে মেয়েদের ফ্যাশনে এসেছে বিচিত্র ডিজাইনের রঙিন চুল। আজকাল অনেক মেয়েই বর্ণিল রঙে চুল সাজাতে পছন্দ করে। নিজেকে স্মার্ট, ব্যতিক্রম এবং আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চুল রাঙানোর যে ট্রেন্ড, সেই পালে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ায় ফ্যাশনসচেতন তরুণীরা। তাই তো তরুণীদের পছন্দ রঙিন চুল। পারলারে গিয়ে শুধু চুল রঙিন করালেই হবে না, এর জন্য চাই বাড়তি যত্ন। নয়তো আপনার পছন্দের রঙিন চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। লিখেছেন— ফেরদৌস আরা

 

আয়নায় নিজের একই ধরনের চেহারাটা দেখে যাদের একঘেয়েমি চলে এসেছে, তারা না হয় পাল্টে ফেলুন চুলের ঢং। কেটেছেঁটে নতুন একটা হেয়ারস্টাইল তো নেওয়াই যায়। চুল রং করালে টের পাবেন পরিবর্তনটা। জেনে নিন এখনকার চুলের রং করানোর ট্রেন্ড।

টেম্পোরারি

শ্যাম্পু করলে কালার ধুয়ে যায়। তাই নিজেকে রঙিন করতে ব্যবহার করুন লিকুইড রিনজ, জেল, স্প্রে। এগুলো বিশেষ কোনো ক্ষতি করে না। তবে মানসম্মত পণ্য দেখে কিনুন।

 

সেমিপারমান্যান্ট

অনেকের আবার কয়েকবার শ্যাম্পু করলে তবেই কালার উঠে যায়। এমনকি কয়েক রকম ডাই একত্রে মিলিয়ে কাঙ্ক্ষিত কালার ভেরিয়েশন আনতে হয়। নাইট্রোঅ্যামিনিন, ডাই অ্যামিন ইত্যাদি ডাইয়ের সঙ্গে সেলডেন্ট, সারফেক্ট্যান্ট থিকেনের সুগন্ধ ও পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এগুলো লোশন, শ্যাম্পু হিসেবে পাওয়া যায়। চুলের রঙের টনিংয়ের জন্য এটি খুব ভালো।

 

ভেজিটেবল ডাই

এই রং অত্যন্ত প্রাচীন। চার হাজার বছর আগে মিসরীয় সুন্দরীরা অ্যালক বা হেনা ব্যবহার করতেন। হেনার পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে পেস্ট এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখলে চুলে কালার ধরে যায়। এর রং সাধারণত লালচে হয়। সিন্থেথিক হেনা প্রোডাক্টগুলো হেনা এবং মেটালিক ডাইয়ের সংমিশ্রণ। এতে লাল শেডের কালার পাওয়া যায়।

 

পারমান্যান্ট

এই পদ্ধতিতে কালার চুলের কর্টেক্সের মধ্যে পৌঁছে যায়। ফলে দীর্ঘদিন থাকে। বাজারে দুটি আলাদা বোতলে এ কালার মিক্সার লোশন পাবেন। একটি রংবিহীন ডাই-প্রিকারসার, অন্যটি হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড। ব্যবহারের আগে দুটিকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। পারমান্যান্ট হেয়ার ডাই চুলের ক্ষতি করে। তাই এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

 

সতর্কতা

► পারমান্যান্ট কালারের ক্ষেত্রে স্ট্রেট বা রিবন্ডিং করতে চাইলে আগে স্ট্রেট করুন। পরে কালার করুন। কমপক্ষে ৭-১০ দিন পর।

► বারবার চুলের কালার পরিবর্তন করা ঠিক নয়। অন্তত একবার চুল কালার করার পর আর ছয় মাস না করানোই ভালো।

► সবসময় ভালো পার্লারে অভিজ্ঞ হাতে কালার করাবেন।

► ত্বকের সঙ্গে মানানসই কালার নির্বাচন করুন চুলের জন্য।

► সব সময় ভালো ব্র্যান্ডের কালার নির্বাচন করুন।

► হেয়ার ডাইংয়ে অ্যালার্জি হলে ব্র্যান্ড পরিবর্তন করুন।

► চুলের রং করানোর ক্ষেত্রে ভালো মানের ডাই ব্যবহার করুন।

 

রঙিন চুলের যত্ন-আত্তি

► প্রথমবার চুলে রং করালে শুধু ঘাড়ের অংশের কিছু চুল নিয়ে তাতে রং ব্যবহার করে দেখুন। চুলের গোড়ায় তাড়াতাড়ি রং নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য রঙে ডেভেলপার না মিশিয়ে খানিকটা গাঢ় রং লাগিয়ে নিন। 

► কালার করা চুলে সপ্তাহে অন্তত একবার হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। সামান্য অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল এবং নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ভালোমতো ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের নিষ্প্রাণ ভাব দূর করে চুল সিল্কি ও সুন্দর করে।

► যদি বাইরে বের হন তবে চুলের রং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। এর থেকে বাঁচতে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন শুধু চুলে। চুলের গোড়ায় যাতে কন্ডিশনার না পৌঁছায়।

► যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার, কালার বা চুল আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। এসব জিনিস চুলকে ভিতর থেকে ড্যামেজ করে। এ ছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এসব হেয়ার স্টাইলার ব্যবহার করা।

► সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে গরম তেল ম্যাসাজ করুন ভালোভাবে। ম্যাসাজের পর গরম তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। কালার করা চুলের জন্য তৈরি বিশেষ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনিং করে নিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর