শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্টাইলে বেল্ট

এ কে রাসেল

স্টাইলে বেল্ট

মডেল : শামীম ও সুজন খান,পোশাক ও বেল্ট : ইজি,ছবি : এক্সপোজ

ফ্যাশনেবল পোশাকে সেজে উঠতে ভালোবাসেন সবাই। কি ছেলে আর কি মেয়ে! ফ্যাশনের ক্ষেত্রে ষোলোআনা পূর্ণ না হলে যেন মনে খুঁতখুঁত রয়েই যায়। ফ্যাশনের দিক থেকে পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য অনুষঙ্গেরও কদর ব্যাপক। আর এসব অনুষঙ্গের মধ্যে ছেলেদের বেল্ট অন্যতম। পোশাক ছাড়া হাতঘড়ির বেল্ট বা জুতার রঙের সঙ্গে মানিয়ে বেল্ট পরাটাও এ সময়ের ফ্যাশন।

প্যান্টকে কোমরে আটকে রাখতে বেল্টের ব্যবহার শুরু হলেও এখন এটি ফ্যাশন অনুষঙ্গও। এটি পোশাকের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। স্মার্টলুকের জন্য শুধু পোশাকই নয়, চাই ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ। ছেলেদের তেমনি একটি অনুষঙ্গ বেল্ট। জিন্স কিংবা ফরমাল, যে কোনো প্যান্টের সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষঙ্গটি স্টাইলিশ লুকের জন্যও জরুরি।

বেল্ট পরার ক্ষেত্রে অবশ্যই রং ও নকশার কথা ভাবতে হবে। শার্ট ও প্যান্টের রঙের সঙ্গে মানিয়ে যেমন বেল্ট পরা যায়, তেমনি শার্ট ও প্যান্টের রঙের সঙ্গে পুরোপুরি বিপরীত রঙের বেল্ট পরাও যেন ফ্যাশন। গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে দুটোরই। আর বেল্ট পরার ক্ষেত্রে বয়সটাও বিবেচনায় রাখা উচিত বলে মনে করেন ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইজির ডিরেক্টর ও ফ্যাশন ডিজাইনার তৌহিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আসল ফ্যাশন তো বরাবরের মতোই পরিবর্তনশীল। আর এটা ফ্যাশন তো কাল ওটা। সেটাও ভাবা উচিত। আবার স্বাস্থ্যের গড়নেরও ওপর ভিত্তি করেও বেল্ট বাছাই করা উচিত। এখন তো অফিসের পোশাকের সঙ্গে একরকম বেল্ট এবং অফিসের বাইরে ক্যাজুয়াল লুকসে আরেক রকম বেল্ট পরাও ফ্যাশন বলা যেতেই পারে।’

কোন লুকে কেমন বেল্ট?

রকমারি বাহারে সাজলে ফ্যাশন হয় বটে, তাই বলে তো যেমন খুশি তেমন সাজা মানায় না। তাই বেল্ট পরার ক্ষেত্রে পোশাক ও ব্যক্তিত্ব বুঝে বেল্ট বেছে নিতে পারেন। কেননা, ফ্যাশন যে শুধু পার্টি কিংবা অনুষ্ঠানে এমনটি নয়, আবার অফিস কিংবা ভার্সিটির গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ এমনটি ভাবারও কোনো সুযোগ নেই। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল দুধরনের লুক আনতে বেল্টের জুড়ি নেই। কেউ পছন্দ করে জমকালো বেল্ট। কারও আবার পছন্দ একরঙা বেল্ট, আবার কারও পছন্দ কয়েকটি রঙের সংমিশ্রণের বেল্ট। যত যাই হোক, মূল কথা হলো নিজেকে একটু গুছিয়ে প্রকাশ করা। এ ক্ষেত্রে জুতার রং, হাতঘড়ির বেল্টের রং এবং বেল্টের রং এক হলে ভালো হয়। ফরমাল পোশাকে ধাতব বকলেস গ্লসি বা চকচকে না হওয়াই ভালো। স্টাইলিশ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লাগবে যদি বেল্টের রং ঘড়ির বেল্টের রঙের সঙ্গে মিলে যায় আর বকলেসটি মিলে যায় ঘড়ির ডায়াল এবং বেল্টের সঙ্গে। আবার ক্যাজুয়াল বেল্টের বকলেসটি ধাতব, একটু বড় চকচকে হতেই পারে। কেননা একমাত্র ক্যাজুয়াল লুকসে নেই কোনো বাধা। এসব বেল্ট হতে পারে চামড়া, ফাইবার, কাপড়ের। একটু নকশাদার বেল্ট ক্যাজুয়াল লুকে ভালো মানায়। এজন্য জিন্স কিংবা টি-শার্টের কোনো একটি কালার মিলিয়ে নিলেই দেখবেন ফ্যাশনে বাজিমাত। চাইলে কনভারস, স্নিকার বা জুতার রঙের সঙ্গেও মেলাতে পারেন বেল্টটি। ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে বেছে নিন হালকা বাদামি, সাদা কিংবা অন্য কোনো উজ্জ্বল রং।

জেনে রাখুন—

♦ বেল্টের শেষপ্রান্তে অনেক বেশি জায়গা প্যান্টের লুপে রাখা খুবই দৃষ্টিকটু, কোমরের মাপ কম হলে গোড়ার দিক থেকে কাটিয়ে নিন।

♦ যে ছিদ্রে পরবেন তার পর যেন একটার বেশি ছিদ্র বাইরের দিকে না থাকে। অর্থাৎ গোড়ার দিক থেকে এমনভাবে কাটিয়ে নিন যেন আপনি শেষ কিংবা শেষের আগের ছিদ্রে বেল্ট পরতে পারেন।

বাজারে চামড়ার বেল্ট পাওয়া যাবে ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। রেক্সিনের বেল্ট পাবেন ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর কাপড়ের বেল্ট পাবেন ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, বঙ্গবাজারে বেল্টের পসরা অনেক বেশি। এ ছাড়া বেল্ট পাবেন বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান পুলিশ প্লাজাসহ বাটা, অ্যাপেক্স, আড়ংয়ের শো-রুমগুলোতে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর