শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
ফেয়ারনেস ক্রিম

গরমে ত্বকের স্বস্তি

সাদিয়া সারা

গরমে ত্বকের স্বস্তি

ছবি : আর্কাইভ

ডে ক্রিমগুলো সাধারণত এমন সব উপাদানে তৈরি, যা আপনার ত্বককে সূর্যরশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। তবে এতে ত্বকের পুষ্টির জন্য সব ধরনের উপাদান নাও থাকতে পারে। আর এখানেই নাইট ক্রিমের দারকার। নাইট ক্রিমে ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এজিংয়ের মতো ত্বকের উপকারী উপাদান থাকে। নাইট ক্রিম ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে এবং পুনরুজ্জীবিত করে তোলে।

গরমের তীব্রতা নিয়ে আসা সময়টা ফ্যাশনসচেতন তরুণীদের জন্য আতঙ্কের বটে। এ সময় শরীরের ত্বক নিয়ে অনেকে আবার অহেতুক দুশ্চিন্তায় ভোগেন। ভেবে থাকেন, আহারে ত্বক বুঝি খসখসে হয়ে যাচ্ছে। রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে! চেহারা হারাচ্ছে লাবণ্যময়তা। আর তাই অনেকেই ফেয়ারনেস ক্রিমে ভরসা করেন। এখন কথা হলো, শুধু ক্রিমের ওপর ভরসা করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল! না, সঙ্গে প্রয়োজন সতর্কতা।

বাইরে যখন বের হবেন, রোদের তাপ, ধুলোবালি এবং সুইমিং করার পর রোদ পোহানো আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। অর্থাৎ আপনার ত্বক গরম এবং ত্বকের মেলানিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে সমুদ্র স্নানে রোদ উপভোগ করেন। এতে লবণাক্ত পানি আর রোদে পুড়ে ত্বক নিজস্ব জৌলুস হারায়। ফলে গ্রীষ্মের এই সময়টাতে শুধু ফেয়ারনেসের ওপর ভরসাই নয়, কিছুটা বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রোদের তাপ বেশি থাকে বলে এ সময় প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়া ভালো।

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘ সময় ধরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় নারীর ত্বক স্বভাবতই প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারায়। গ্রীষ্মের সানট্যানে ফেয়ারনেস ক্রিম ত্বককে রোদের প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত রাখে। তবে বাজারের ফেয়ারনেস

ক্রিম নামের চলতি প্রোডাক্টগুলো ত্বকের জন্য কতটা কার্যকরী! সত্যিই কি ফরসা এবং গ্রীষ্মের প্রখর রোদ থেকে রক্ষা মেলে এসব ক্রিমের প্রয়োগে? কী বলছেন রূপ বিশেষজ্ঞরা? চর্ম বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারদের মতে, ‘ফেয়ারনেস ক্রিমগুলোতে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে, যা ত্বকের মেলানিনের ঘনত্বকে হ্রাস করে। এই মেলানিনই নির্ধারণ করে ত্বকের রং। ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেশি থাকলে ত্বক কালো হয়। মেলানিনের ঘনত্ব কমে গেলে ত্বকের যেসব অংশ হাইপারপিগমেন্টেড অর্থাৎ যেসব অংশে মেলানিনের পরিমাণ বেশি সেই অংশগুলোতে চামড়ার রঙের গাঢ় ভাব হ্রাস পায়। ফলে ত্বকের রঙে সামান্য ঔজ্জ্বল্য আসে। গ্রীষ্মে ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের ধরন বুঝে ফেয়ারনেস ক্রিম বেছে নিন। তবে, দীর্ঘদিন ব্যবহার বাঞ্ছনীয় নয়। এটি স্থায়ী ত্বক ফরসা করতে পারে না।’

ঢাকার স্বনামধন্য বিউটি জোন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক ও বিশিষ্ট রূপ বিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম বলেন, ‘গ্রীষ্মে রোদের পোড়া থেকে ত্বক রক্ষা করতে ফেয়ারনেস ক্রিম উপযোগী। তবে, এ ধরনের ক্রিমের একটানা ব্যবহার উচিত নয়। তুলনামূলকভাবে যেসব ক্রিমে কোজিক অ্যাসিড, আরবুটিন বা লিকোরিসের মতো উপাদান থাকলে তা কিছুটা কম ক্ষতিকর। তাই ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক না হয় এমন ক্রিমই ব্যবহার করুন। ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। সময় থাকলে বরফ কুচি কাপড়ে মুড়িয়ে মুখে ঘষে নিন। এতে রোদের তাপ থেকে আপনার ত্বক রক্ষা পাবে।’

গ্রীষ্ম ঋতুটা এমনিতেই ধুলোধূসর। সারা দিনের জমে থাকা ধুলোময়লা, ঘাম, তেল রোমকূপে জমে ত্বকের ক্ষতি করে। মুখ না ধুয়ে ফয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হবে এটা নিশ্চিত। তাই স্বাভাবিক, শুষ্ক বা তৈলাক্ত যে ধরনের ত্বকই হোক না কেন, ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারে শুরুতেই ক্লিনিং মাস্ট। এ ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার না করে ফেসওয়াশ বা ফেসিয়াল জেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর