শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

থ্রি কোয়ার্টার-টি শার্টে তারুণ্য

থ্রি কোয়ার্টার-টি শার্টে তারুণ্য

► লেখা : আবদুল কাদের ► মডেল : ফয়সাল দীপ ও আদর আহম্মেদ ► পোশাক : প্লাস পয়েন্ট ► ছবি : শওকত মোল্লা

গরম চলছে। মাঝে মাঝে একটু বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও আবার যেই সেই। বর্ষার শেষ হলেও গরমে ফিট থাকা দায়! কিন্তু তারুণ্যের স্টাইল! সে তো কোনো সময় মানে না। জেনে নিন আরামদায়কভাবেও কীভাবে স্টাইলিশ থাকবেন গরমে। ওয়ারড্রোবে রাখুন হালকা পোশাক।

 

ঋতুর পালাবদলে চলছে শরৎকাল। গরম যেমন পড়ছে তেমনি থেমে থেমে বৃষ্টিও রাজত্ব করছে গোটা নগরীতে। তাই বলে ফ্যাশন! ভাবছেন সেটা শীতের জন্য তোলা থাক! এমন মৌসুমে গোড়ালি ঢাকা প্যান্টের তুলনায় খাটো প্যান্টই বেস্ট অপশন, সঙ্গে স্টাইলিশ টি-শার্ট। অফিস কিংবা আনুষ্ঠানিকতা বাদে এ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের পছন্দের ভূষণ। তাই তো এবারের গরমে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে আছে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ও টি-শার্ট।

 

 

এই গরমে বাড়িতে তো বটেই, বাড়ির বাইরে বন্ধুদের আড্ডায়ও জমবে ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ দুটি। সব জায়গাতেই পরিধানযোগ্য এই থি-কোয়ার্টার প্যান্ট। দমফাটা গরমে খেলাধুলা, বেড়ানো এমনকি জিমের ওয়াক আউটেও জমিয়ে পরা যায় থ্রি-কোয়ার্টার। আর সময়টাই এখন গরম আর বৃষ্টির দখলে। তাই বাইরে যেতে থ্রি-কোয়ার্টারই বেস্ট অপশন। সঙ্গে বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল কোনো টি-শার্ট। ফ্যাশনও হবে, মৌসুমের প্রভাব থেকে বাঁচাও যাবে।

 

প্লাস পয়েন্টের কর্ণধার বিপুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাশনে তারুণ্যের প্রথম চাহিদা হলো আরাম। সঙ্গে থাকা চাই পশ্চিমা ট্রেন্ড। গরম ও বৃষ্টির এই আবহাওয়ায় তাই তো তরুণ-তরুণীরাও বেছে নিচ্ছে থ্রি-কোয়ার্টার। ছেলেরা শার্ট, টি-শার্টের সঙ্গে পরলেও মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। কামিজ কিংবা টি-শার্টের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে মেয়েরাও। বন্ধুদের আড্ডা তো বটেই, ভ্রমণ বা অবসর কাটাতেও এই প্যান্টের জুড়ি নেই।’

নানা ধরনের কাপড়ের থ্রি-কোয়ার্টার পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে জিনস এবং সুতির প্যান্ট চলছে ভালো। জিনসের কাপড় অনেকটা পাতলা করে বানানো হচ্ছে হাফ প্যান্ট বা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট। কোনো কোনো প্যান্টের দুই পাশে করা হয়েছে ডুয়েল পকেট। তবে, ডুয়েলের চেয়ে বেশি পকেটের থ্রি-কোয়ার্টারের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। পকেটে চেন বা বোতামের ব্যবহারে আছে নতুনত্ব। একটু টাইট ফিটিং হলেও কিছু কিছু প্যান্টে দেখা যায় ভিন্নতা। কোনো কোনো প্যান্টের নিচে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ইলাস্টিকের রাবার। দেখতে অনেকটা ট্রাউজারের মতো। এসব থি-কোয়ার্টারও তারুণ্যের বেশ পছন্দের। ভিন্ন রঙের কাপড় জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কোনো কোনোটায়। উজ্জ্বল রং এখন চলছে বেশি। চেক ছাড়াও একরঙের প্রতিই আকর্ষণ তারুণ্যের। প্যান্টের সামনের দিকে চেন অথবা স্টিলের বোতাম লাগানো হচ্ছে।

ফ্যাশনের এই হাওয়া বদলে টি-শার্টও পিছিয়ে নেই। গোল গলা, কলার দেওয়া অথবা ভি-নেক, সব রকমের টি-শার্টই চলছে বেশ। তবে টি-শার্টের ওপর লেখা ওয়ান লাইনার ভীষণ রকম হিট। লিংকিং পার্ক, চে গুয়েভেরাসহ বিখ্যাত সব ব্যক্তিত্বে ছেয়ে যাচ্ছে টি-শার্টের জমিন। কোনো কোনোটি আবার মজাদার স্লোগানে ভরপুর। আই অ্যাম ডিফারেন্ট, ইউ লাভ মি-এর মতো ছোট বড় স্লোগানে ভরপুর টি-শার্টে রমরমা। তার সঙ্গে আছে বিভিন্ন কার্টুন। আর ফুটপাথ থেকে বড় শো-রুম, সব জায়গার টি-শার্টেই দ্য অ্যাংরি বার্ডস ছাড়াও বিভিন্ন কার্টুনের ছড়াছড়ি। তবে চিরন্তন স্ট্রাইপ বা একরঙা কলার দেওয়া টি-শার্টও কিন্তু বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিজেদের মতোই।

বিপুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আরামদায়ক ফেব্রিকে তৈরি করা হচ্ছে এসব টি-শার্ট। ডিজাইনেও থাকছে নান্দনিক বৈচিত্র্য। হাতা বা নিচের দিকে পাইপিংয়ে এসেছে নতুনত্ব। কাঁধে বা হাতায় একাধিক মোটা সেলাই দেখা যাচ্ছে। নিচের দিকে সম্পূর্ণ গোল কাট। ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ প্রতিটি টি-শার্ট যেন একেকটি রং-তুলির ক্যানভাস। যেহেতু গরম, তাই স্টেচিং নিট কাপড়ের টি-শার্টই আরামদায়ক। ক্যাজুয়াল লুকে টি-শার্টের সঙ্গে থ্রি-কোয়ার্টার, জিনস, গ্যাবার্ডিন বা সুতি প্যান্টের সঙ্গে মানিয়ে যায় অনায়াসেই।’

রাজধানীর বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, নিউমার্কেট, মিরপুর, উত্তরা প্রভৃতি এলাকায় কিনতে পাওয়া যাবে এসব প্যান্ট। বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান পুলিশ প্লাজা, রাপা প্লাজাসহ আজিজ সুপার মার্কেটের বিভিন্ন শো-রুম থেকে পছন্দ করে কিনতে চাইলে যেতে পারেন ইজি, ওটু, আর্টিস্টি, ফ্রিল্যান্ড, প্লাস পয়েন্ট, ডিজেল, বিগ বস, একস্ট্যাসি, ওয়েসটেকস, মেনজ ওয়্যার, মেনস ক্লাবে। ব্র্যান্ডের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট কিনতে আপনাকে গুনতে হবে ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। টি-শার্ট  মিলবে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে। একটু ভালো মানের টি-শার্ট কিনতে যেতে পারেন দেশি-বিদেশি ফ্যাশন হাউসগুলোয়।

সর্বশেষ খবর