শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারকার ঈদ

তারকার ঈদ

ফ্রাইডের আয়োজনে মডেল হয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী, ছবি তুলেছেন মঞ্জুরুল আলম

আবারও এলো ঈদ। কয়েক দিনের হাসি আর আনন্দ। সেই আনন্দ থেকে বাদ যান না তারকারাও।  তা ছাড়া তারকাদের ঈদ নিয়ে সাধারণের কৌতূহলের কমতি নেই। তাই তো এই আয়োজন।

ঈদ এলেই কেনাকাটা, নতুন পোশাক, খাবার দাবার আর ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকে সবারই। কোন ফ্যাশন ইন আর কোন ফ্যাশন আউট তা ট্রেন্ড অনুযায়ী অনুসরণ করাও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সে হিসেবে পছন্দের তারকারা হয়ে ওঠেন ভক্তদের অনুকরণীয়। তারা কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কী খাবেন, কী পরবেন, কীভাবে ঈদ উদযাপন করবেন আরও কত শত প্রশ্ন! সবটুকুই আগ্রহ ছুঁয়ে যায় ভক্তদের মন। প্রিয় তারকাদের ঈদ পরিকল্পনা নিয়ে লিখেছেন— তানিয়া তুষ্টি

 

‘‘ ঈদ মানেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর হাসি-আড্ডা। সবার মাঝে কয়েকদিন আগ থেকেই দিনটি ঘিরে নানা রকম পরিকল্পনা ঘুরপাক খেতে থাকে। আনন্দকে বাড়িয়ে নিতে পছন্দের তারকাকে অনুসরণ করাও অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পছন্দের তারকারা কীভাবে দিনটি উপভোগ করবেন তা জানার সুযোগ থাকলে তো কথাই নেই। বুবলী জানালেন—

 

এবারের ঈদটি আমার জন্য অনেক বেশি স্পেশাল। কারণ এই ঈদে আমার দুটি ছবি ‘রংবাজ’ ও ‘অহংকার’ মুক্তি পাচ্ছে। তাই প্রচারণার কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে। তবে মনটা একটু খারাপ থাকবে বন্যা দুর্গতদের জন্য। আমরা যতই ঈদে আনন্দ ফুর্তি করি না কেন, তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে। তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ঈদের পোশাকে ঝুলিতে রেখেছি অনেকগুলো ড্রেস। কারণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। তাই বিশেষ কোনো একটি পোশাককে গুরুত্ব দিতে পারছি না। আমি এমনিতে একটু ঘরকুনো মানুষ। কাজ বাদে তেমন বাইরে থাকা হয় না। পরিবার পরিজনকে ঈদের দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এদিকে খাবারদাবার হিসেবে প্রতি ঈদেই আমার হাতে করা একটি স্পেশাল আইটেম থাকে। এবারের ঈদ যেহেতু কোরবানির। তাই ইচ্ছা আছে গরুর মাংসেরকোনো একটি স্পেশাল আইটেম রাখার।

 

আমাদের অনেকের ধারণা যাদের পর্দায় সব সময় খুব আদুরে ও সাজগোজে দেখা যায় তারা হয়তো ঘরের কাজে তেমন পারদর্শী নন। রান্নার কাজে হয়তো আরও বেশি অদক্ষ। কিন্তু বুবলীর কথায় সে ধারণা বদলে যাবে। ক্যামেরার সামনে তিনি যেভাবে পারদর্শী, রান্নাবান্নাতেও পারদর্শী শতভাগ বাঙালি এক মেয়ে। ক্যারিয়ার আর ব্যক্তি জীবনের জন্য সময়কে ভাগ করে নিয়েছেন। সেখান থেকে পরিবার পরিজনদের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। তিনি ঈদের এই বিশেষ মুহূর্তে আনন্দময় সময়গুলো কাটাবেন আপন লোকদের সঙ্গে আড্ডাবাজি, গল্প ও খোঁজখবর নিয়ে। প্রতিদিনের ব্যস্ত বুবলীকে পরিবারের লোকজন পাবেন বাড়ির সেই ঘরোয়া মেয়েটি হিসেবে। তার গায়ে তারকার তকমা লাগলেও বাড়িতে তিনি আগের বুবলীই থাকবেন। নইলে প্রতি ঈদে আগের মতই স্পেশাল আইটেম রান্নার পরিকল্পনা হয়তো এবারও রাখতেন না। ঢাকাই ফিল্ম পাড়ায় এবার তার দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। দ্বিতীয় বারের মতো এরকম জোড়া ছবির আনন্দ পেতে যাচ্ছেন এই লাস্যময়ী। তাই দর্শক ও ভক্তদের সঙ্গেও প্রচারণার কারণে ঈদের বিশেষ মুহূর্তগুলো কাটবে তার।

 

‘‘ ঈদ মানেই আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগার একটি উৎসব। সেই উৎসবের রঙিন সময়গুলো ছিল শৈশবে। আনন্দ বলে বা লিখে প্রকাশ করা যাবে না। ঈদের জামা নিয়ে অধীর আগ্রহে সময় কাটাতাম। বিশেষ করে ছোটবেলায় নতুন জামা-কাপড় পরে ঘুরে বেড়ানোর মজাই ছিল আলাদা। আর বেড়ানোর কথা না বললেই নয়। ঈদের দিনে নানুর সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের বাসায় ঘুরে বেড়ানোর কথাটা এখনো মনে পড়ে। মজার মজার খাবার খেতাম। এবারের ঈদে আমার ‘সোনাবন্ধু’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। তাই আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই বটে। ঈদের দিনটা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেই কাটাতে চাই। পরিজন, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই এখন ঈদের আনন্দ। এ ছাড়া বন্যাদুর্গতদের জন্য কিছু একটা করার পরিকল্পনা রয়েছে। সবাই যদি নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসি, তাহলে অনেকখানি কষ্ট লাঘব হবে বন্যাদুর্গতদের।

 

ঈদে তারকাদের ছবি মুক্তি, প্রচার প্রচারণা, ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটানো, আত্মীয় স্বজনকে কাছে পাওয়া, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানসহ আনন্দের অনেক বিষয় থাকে। ভক্তদের কাছে এতগুলো বিষয়ের সমন্বয় ঘটানো নিশ্চিতভাবে কঠিন। তবে তারকারা কিন্তু করছেন হাসিমুখেই। নিজেদের শুধু আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়েই চলছেন না, মাথায় থাকছে দেশের অসহায় দুর্গতদের কথাও। পরিমণি রীতিমতো আহ্বান করছেন সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে। এত এত ব্যস্ততার মাঝেও ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি তাকে নিয়ে যায় সেই অতীতে। এখন মুখরোচক ও দেশি-বিদেশি খাবারের ভিড়ে হারিয়ে ফেলেননি ছোটবেলার খাবারের স্বাদ। ঈদে পাওয়া একটি বা দুটি জামার আনন্দ এখনকার নজরকাড়া দামি পোশাকগুলোর থেকেও তার কাছে বেশি কিছু। তার কাছে সেগুলোর মজাই নাকি আলাদা। এখন তো অনেক ব্যস্ততা পরীকে ঘিরে ফেলেছে। ইচ্ছা করলেই সব সময় যেখানে সেখানে ঘুরতে যেতে পারেন না। তাই ঈদের মতো বিশেষ দিন আসলে নানুর সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোকে খুব মিস করেন। কাজের খাতিরে বাইরের জগতের মানুষের সঙ্গে সখ্য থাকলেও এমন দিনে আপন আত্মীয়র সঙ্গে সময় কাটানো তার পছন্দের।

 

 

এদিকে মাহিয়া মাহির কাছ থেকে জানা গেল তার এবারের ঈদের পরিকল্পনা সম্পর্কে। ঈদে তার কাছে স্পেশাল পোশাক হিসেবে স্কার্ট আর টপস বেশি পছন্দ। খাবারদাবারও থাকবে সাদামাটা। আর আপন লোকদের সঙ্গে আড্ডাবাজি তো থাকবেই।

 

 

 

‘‘ ঈদের পোশাক হিসেবে আমার প্রথম পছন্দ স্কার্ট আর টপস। তবে দ্বিতীয় পছন্দ যদি বলতে হয় তবে অবশ্যই সেটি হবে শাড়ি। খাবার হিসেবে পছন্দ ভুনা খিচুড়ি আর গরুর মাংসের কালা ভুনা। ঈদে নিজের সিনেমা থাকলে বন্ধুদের নিয়ে হলে সিনেমা দেখা আমার কাছে অনেক আনন্দের বিষয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর