শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পূজায় পাল্টে যাওয়া অন্দরমহল

সাইফ ইমন

পূজায় পাল্টে যাওয়া অন্দরমহল

শরৎ মানেই উৎসব। দুর্গাপূজার সাজ সাজ রব। এই উৎসবের আমেজে গোটা শহরই মেতে ওঠে। সঙ্গে সেজে উঠে অন্দরমহলও। আধুনিকতার সঙ্গে সাবেকিয়ানাজুড়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার বাসগৃহ।

 

উৎসব-পূজা-পর্বণ— যাই বলি না কেন, মা দুর্গার আগমনের সঙ্গে লাগে উৎসবের আমেজ। এ সময় পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতেও লেগে যায় অতিথির ধুম। স্বভাবতই পূজার সময় অতিথি আগমন বেশি থাকে। আর এখানেই বাড়ির কর্তাকে দিতে হয় সুরুচির পরিচয়। বাড়িটি সুন্দর ও রুচিসম্মত সাজে সাজিয়ে তুলতে খুব বেশি কিছু নয়, সামান্য পরিবর্তনেই মিলবে মার্জিত অন্দর।

 

শুরুতেই আসতে হয় ঘরের রঙে। উজ্জ্বল এবং হালকা রং ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করে। আপনার ঘরে যদি সূর্যের আলো কম থাকে তবে হালকা রংই বেছে নিন। যদি গাঢ় রঙে ঘর সাজিয়ে তুলতে চান তবে, দেয়ালে কমলা, লাল, হালকা নীল রং করাতে পারেন।

 

পর্দা শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, কর্তার রুচির অন্যতম পরিচায়ক হিসেবে কাজ করে। তাই পর্দার ডিজাইন ঘরের জানালা-দরজার ডিজাইনের ওপর বিবেচনা করে পর্দা বাছাই করা উচিত। ছোট ফ্ল্যাটে বেশি ভারী পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। রিচ ফেব্রিকের পর্দা লাগালে আভিজাত্য ফুটে ওঠে। আর অন্দরের মেঝেতে বিছিয়ে দিন কার্পেট। বাজেট কম হলে শতরঞ্জি কার্পেট বেছে নিতে পারেন।

 

অন্দরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে ছোট্ট ছোট্ট শো-পিস সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। ড্রয়িংরুমের কর্নারগুলোয় করুন ইনডোর প্ল্যান্ট কিংবা ল্যাম্পশেড এবং ফুলদানি। সঙ্গে আলো-ছায়ার ম্যাজিক তৈরি করতে চাইলে সাদা, লাল, কমলা, গোলাপি বিভিন্ন ধরনের জমকালো লাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর বিশেষ অংশ হাইলাইট করার জন্য চাই স্পট লাইট।

ড্রয়িংরুমের সোফার কুশন-কভার না বদলালে যেন উৎসবে খানিকটা ভাটা পড়ে যায়। তাই উৎসবে যদি সোফার কভার পাল্টানোর ব্যবস্থা থাকে তাহলে বদলে ফেলুন। আর যদি না করা যায় তাহলে সোফার গদি বা কর্নারগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

খাবার টেবিল নোংরা থাকলে টেবিলক্লথে ঝোল কিংবা মসলার দাগ লেগে যেতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে এই দাগ তুলতে কুসুম কুসুম গরম পানিতে গুঁড়া সাবান গুলে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন। তারপর দাগের জায়গায় লেবুর টুকরো ঘষে ধুয়ে ফেলুন। রান্নাঘরের খাবারের গন্ধ দূর করতে এক কাপ ভিনেগারের সঙ্গে ৮-১০টি লবঙ্গ দিয়ে চুলায় ফোটাতে থাকলে একসময় পাত্রের পানিতে ভিনেগার কমে আসবে, তখন গন্ধ দূর হবে। গ্যাস বার্নার ও আশপাশ পরিষ্কার করার জন্য বেকিং পাউডার, ভিনেগার ও লেবুর রস পানি ব্যবহার করুন। গন্ধ ও তেল চিটচিটে ভাব কমে রান্নাঘর উজ্জ্বল দেখাবে। বাথরুমের গুমোট ভাব দূর করতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। দেখবেন গুমোট ভাবটি নেই।

সর্বশেষ খবর