মানুষ এখন ভীষণ শৌখিন। দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন্ডে আসছে পরিবর্তন। বর্তমানে বসার ঘরের সাজসজ্জায় আনে নতুনত্ব। বিভিন্ন শো-পিস আর ইনডোরে সাজিয়ে তোলেন সাধের ঘর। বাদ যায় না সোফা সেট বা কফি টেবিলও। কফি টেবিলটি আরও আকর্ষণীয় করে তোলার টিপস দেওয়া হলো।
♦ কফি টেবিলে রাখতে পারেন কফির জার, দুটি কফি-স্টাইল্ড মগ, কফি ম্যাট, সুগার ইত্যাদি।
♦ যদি ঘরটি বড় হয়, তাহলে কিনে নিতে পারেন দুটি ছোট কফি টেবিল। সেক্ষেত্রে একটি টেবিলে রাখুন শিল্পকর্ম বা বই। আরেকটিতে রাখুন শুধু কফির বিভিন্ন সামগ্রী।
♦ বেডরুমে রাখতে পারেন গ্লাস টপ কফি টেবিল। পুরো টেবিল নয়, টেবিলের উপরিভাগ হতে হবে কাচের। চৌকো বা ডিম্বাকৃতি, পছন্দসই বেছে নিতে পারেন।
♦ কফি টেবিল বই ছাড়া অসম্পূর্ণ। কেননা আড্ডা ব্যতীত কফি খাওয়ার আরেক উদ্দেশ্য হলো চাঙ্গা মনে নিরিবিলি বই পড়া। বইয়ের পাশাপাশি কয়েকটি ম্যাগাজিনও রাখতে পারেন। অতিথিরা গল্প করার সময় হালকা কিছু পড়তেও পারবে।
♦ কফি টেবিলে হালকা ও রঙিন মোম বা মোমদানি বসিয়ে দিন। মোমবাতি শুধু কফি টেবিলকে স্নিগ্ধ আলো দিয়ে আলোকিতই করে না, এর আলো সন্ধ্যাকে করে উজ্জ্বল ও প্রদীপ্ত। পাশেই একটি ট্রেতে সাজিয়ে রাখতে পারেন কিছু তাজা ফুলের পাপড়ি অথবা কয়েকটি মাটির শিল্পকর্ম।
♦ ঘরে ভিন্ন লুক দিতে রাখতে পারেন কনটেম্পরারি কফি টেবিল। এ ধরনের টেবিল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের টেবিলে একাধিক ড্রয়ার থাকে। ফলে কোনো কিছু রাখার জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
♦ সম্ভব হলে কফি টেবিলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টেবিল ক্লথ দিয়ে সাজান। এটি পছন্দের কফি খাওয়ার জায়গাটিকে কফির ছিটে পড়া থেকে বাঁচাবে।
♦ পেইন্টিং-এর শখ থাকলে একটি রংতুলির বক্স রাখতে পারেন। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে কলমদানি ও সঙ্গে কিছু সাদা কাগজ রেখে দিন। নিজের বানানো কোনো হস্তকর্ম বা পছন্দের জুয়েলারিও রাখতে পারেন। চাইলে বড়সড় ট্রেতে রাখতে পারেন কিছু দুর্লভ পানীয়র বোতল।
♦ সম্ভব হলে একদিন পরপর নতুন সুগন্ধি ও তাজা ফুল সাজিয়ে রাখুন এতে, আর তাও সম্ভব না হলে আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে সাজান।