শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঝটপট সাজ

ফেরদৌস আরা

ঝটপট সাজ

♦ মডেল: মারিয়া মিম ও তাজরিন ♦ ছবি: মঞ্জুরুল আলম

অফিসের কাজ, বাসা, বন্ধুদের আড্ডা, অনুষ্ঠান, নানাজনের নানা আবদার— সবকিছু সামলে উঠে নিজেকে ঠিক গুছিয়ে রাখাটাই কঠিন। আবার নিজেকে পরিপাটি আর আকর্ষণীয় রাখাটাও বেশ ধৈর্যের ব্যাপার। তবে, কীভাবে নিজেকে আরও ছিমছাম, সুন্দর আর আকর্ষণীয় করে তোলা যায় রইল পরামর্শ।

 

পোশাক :

আপনার উচ্চতা, গড়ন, ব্যক্তিত্ব আর গায়ের রং, চুলের রঙের সঙ্গে মানিয়ে পোশাক পরুন। আবার ঋতুভেদেও পোশাক নির্বাচন করা উচিত। কালো চুলে চোখ বুজে বেছে নিতে পারেন যে কোনো পোশাক। তবে অন্য রঙের চুলে একটু সতর্ক হোন। লাল রঙের চুলে বেগুনি, ডার্ক বা বটল গ্রিন আর কালো রঙের পোশাকই বেশি মানানসই। আবার স্কিন টোন বুঝেও পোশাক বাছাই করা বুদ্ধিমানের কাজ। ফ্যাকাশে গায়ের রঙে নিন উজ্জ্বল রং। ব্লু, ব্ল্যাক, বেগুনি বা গ্রিনও হতে পারে মানানসই। শ্যামবর্ণ গায়ের রঙে সাদা বা অনুজ্জ্বল রঙের পোশাক মানানসই। আবার উচ্চতাও যে বিবেচ্য বিষয়। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই উচ্চতা কম, স্বাভাবিক বা খুব বেশি হতে পারে। আবার বেশি উচ্চতার মানুষের শারীরিক গড়নও হতে পারে একটু পাতলা। আর এসব দিকে খেয়াল রেখে পোশাক নির্বাচন করা উচিত। আপনি যদি বেশ লম্বা ও পাতলা হয়ে থাকেন তাহলে খেয়াল রাখুন আপনার পোশাকের রংটি যেন উজ্জ্বল শেডের হয় এবং ভিন্ন রকমের রং যেন তাতে ব্যবহূত হয়। তাতে আপনার ওজন কিছুটা বেশি মনে হবে। খানিকটা মোটা দেখাতে হলে পরুন ফুলস্লিভ পোশাক। এমন পোশাক পরুন যাতে অনেকগুলো স্ট্রাইপ রয়েছে। তবে আপনার উচ্চতা যদি খানিকটা কমের দিকে হয় তাহলে পরুন হালকা রঙের পোশাক। এতে প্রথম দেখাতে আপনার উচ্চতা খুব একটা বোঝা যাবে না।

 

স্থানভেদে পোশাক বাছাই :

কর্মক্ষেত্রে পোশাক সবসময়ই ফরমাল হওয়া উচিত। অতিরিক্ত রংচঙে কাপড়, ফ্যাশনেবল ডিজাইন অফিসে আপনাকে অন্যদের চোখে আকর্ষণীয় বা সম্মানের নয়, বরং হাস্যকর করে তুলবে। আবার অন্যদিকে পার্টি বা অনুষ্ঠানের পোশাকটি হওয়া উচিত একেবারে উল্টো। তবে সব ক্ষেত্রে নয়। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সময়গুলোতে সেই পোশাকটিই পরুন যা আপনার কাছে আরামের ও পছন্দের। পোশাক একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন ঘটায়। পোশাকের নানা রং বহন করে নানা রকম অর্থ। আর তাই কোথায় কি পোশাক পরবেন সেটা আগে থেকেই ভেবে রাখুন। দরকার পড়লে আলাদা করে রাখুন সেগুলোকে। ফলে দরকারের সময় মিলবে সহজেই।

জুতা :

অনেকেই পোশাকের দিকে যতটা না মনোযোগী তার চেয়ে একটু কমই মনোযোগী পায়ের জুতোয়। সত্যি বলতে, পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশে জুতার অবদান অনেকটাই। মানানসই পোশাক, মানানসই প্রসাধন, মানানসই আনুষঙ্গিক জিনিসের মিশেল ঘটানোর পরও পুরো কষ্টটাই মাটি হয়ে যায় যখন জুতা ঠিকঠাক না হয়। তাই পোশাকের পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন জুতার দিকেও। বর্তমানে হিল, সেমি হিল, ফ্ল্যাটের পাশাপাশি চলছে নানা ধরনের পাম্প শুও টেন্ড ইন। রঙের দিকে এগিয়ে রয়েছে কালো। সব বয়সী, সব গড়নের মানুষ এবং সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে যায় কালো রঙের জুতা। খেয়াল রাখুন কেমন পোশাকে কোন রঙের জুতা মানাচ্ছে বেশি। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, জিন্স-টপস— এসবের সঙ্গে পরুন মানানসই জুতা। শাড়ির সঙ্গে হিল বা সেমি হিল পরলেও অন্যসব পোশাকের ক্ষেত্রে বাছাই করুন ফ্ল্যাট জুতা বা লোফার।

ব্যাগ :

বর্তমানে স্কুলের নির্দিষ্ট কিছু সময় ছাড়া বাকি সবটা সময়ই সব ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করছে যে কোনো বয়সী মানুষ। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হচ্ছে অনেক বেশি। আর তাই খেয়াল রাখুন ঠিক রং, গড়ন আর মানানসই ব্যাগটি ঠিক স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন কিনা।

আনুষঙ্গিক :

সানগ্লাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তো বটেই, এর বাইরেও সব বয়সীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। আর তাই চোখে খানিকটা কাজলের ছোঁয়া দিন। তা না পারলেও বেরুনোর সময় চোখে লাগিয়ে নিন সানগ্লাস। সঙ্গে ত্বকের দিকেও নজর দিন। মানানসই মেকআপে সাজিয়ে নিন নিজেকে। হাতে পরুন স্মার্ট ওয়াচ। বালা বা চুড়িতে পুরোপুরি ওয়েস্টার্ন লুক না আসলেও ওয়েস্টার্ন লুকের জন্য হাতে পরতে পারেন স্টাইলিশ ব্রেসলেট আর গলা এবং কানে পরতে পারেন নান্দনিক হার এবং কানের দুল। স্টাইল স্টেটমেন্ট আসবে ভিন্নতা এবং আপনি হয়ে উঠবেন অনন্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর