শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুঅভ্যাসে উন্নতি

সুঅভ্যাসে উন্নতি

ছবি : ইন্টারনেট

সুখী সমৃদ্ধ সুস্থ জীবন সবারই কাম্য। জীবনের সবকিছুতেই আমরা সুখী হওয়ার চেষ্টা করি। চলার পথে সাধারণ কিছু অভ্যাস সহজেই সাফল্য বয়ে আনতে পারে।

 

♦  রাতের খাবারগুলো যেন সব থেকে হালকা হয়। রাতের খাবারে সালাদের পরিমাণ বেশি রাখলে খুবই ভালো হয়। চেষ্টা করতে হবে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেতে। আমাদের দেশের সবার উচিত রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করুন।

 

♦  পর্যাপ্ত ঘুম খুবই দরকারি। রাতে জলদি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন যেন পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার আগেই আপনাকে উঠে পড়তে না হয়। আমাদের সারাদিন উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে হতে হয়। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এ জন্যই ভীষণ জরুরি। দিনের শুরুতে আপনি যখন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন তখন বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যমবোধ করবেন। আর ভালো ঘুম আপনাকে পরিপূর্ণভাবে উদ্যম দেবে। মস্তিষ্ক তার কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। অন্যথায় ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্ক কিন্তু ঠিকভাবে কাজ করে না। রাতে ভালো ঘুম হলে এরপর সারাদিন কাজ করলেও আপনি সহজে ক্লান্তবোধ করবেন না। তাই উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যতটা সম্ভব আগে ঘুমাতে যেতে হবে।

 

♦  ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করার পাশাপাশি ঘুম থেকে উঠে কিছু আচরণবিধি মেনে চলতে পারেন। যোগব্যায়াম করতে পারেন আবার কিছুটা সময় ব্যায়াম করতেও পারেন। এতে আপনার শরীর ও মনের মধ্যে একটা চমৎকার সমন্বয় তৈরি হবে। আর দুটিই উত্ফুল্ল থাকবে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সবচেয়ে ভালো সময় হলো ভোর ৪টা থেকে ৬টা।

 

♦  সঠিক অভ্যাস আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে। সকালে নাস্তা করার আগে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে আপনার পাচনতন্ত্র সঠিকভাবে চলবে। আর পাচনতন্ত্র ঠিক থাকলে আপনি শারীরিক ও মনসিক দুভাবেই প্রাণবন্ত থাকবেন।

 

♦  নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। শাক, সবজি ও ফলমূল বেশি করে আহার করুন। পাশাপাশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভালো খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এতে আপনি থাকবেন সুস্থ ও সবল। 

 

♦ শরীর মাঝে মাঝে হালকা ম্যাসেজ করুন। এতে ব্যবহার করতে পারেন নারিকেল তেল বা সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল। ম্যাসেজ করলে আপনার কোষগুলো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে। এটি আপনার ত্বকের জন্যও খুব উপকারী।

 

প্রতিদিন কিছুটা সময় নিরিবিলি একান্তে কাটানোর টেষ্টা করুন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানা প্রকার দূষণের শিকার হই। শব্দ দূষণ এর মধ্যে অন্যতম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা শব্দের মাঝেই থাকি। কিছুটা সময় এই শব্দ থেকে দূরে থাকতে পারলে আপনার মানসিক প্রশান্তি আসবে ও আপনি আপনার কাজে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর