ব্যক্তিগত অভ্যাস
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন ছোট থেকেই। তাহলে বড় হয়েও সেই অভ্যাসটা থেকে যাবে। খাবার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। ওয়াশরুম ব্যবহারের পর ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। এক্ষেত্রে সবসময় হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের পর পানি দিয়ে ভ্যাজাইনাল এরিয়া একবার হলেও পরিষ্কার করে নেবেন।
পানি ও খাবারজনিত জীবাণু
বেশিরভাগ পেটের গণ্ডগোলের মূলে রয়েছে দূষিত পানি ও খাবার। তাই যথাসম্ভব বাইরের খোলা খাবার এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে কেটে রাখা ফল এড়িয়ে চলুন। রান্নার আগে সবজি ধোয়া শেষে আমিষ ধোবেন। গরম খাবার ঠাণ্ডা করে তবেই ফ্রিজে রাখুন। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ফিল্টার পানি ক্যারি করুন। অন্যথায় মিনারেল ওয়াটার পান করুন। অনেকে পেটের সমস্যায় ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে নেন। এটা করবেন না। ঘনঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে আ্যাান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ না করলে ওই ওষুধ ভবিষ্যতে আর কাজে লাগবে না।
পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা
বাইরে সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে বাড়ি ফেরার পরে ভালো করে গোসল করে নিবেন। বাইরের জামা-কাপড় দ্রুত বদলে ফেলুন। জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মৌসুমি ফল, সবজি, দই ইত্যাদি রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও খাবেন। বাইরের দূষণ থেকে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে শরীরের ইমিউনিট বাড়ানো জরুরি।
মুখের জীবাণু থেকে সুরক্ষা
দিনে অবশ্যই দুবার ব্রাশ করার অভ্যাস করুন। আর প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলুন। না হলে ব্রাশের কাঁটা শক্ত হয়ে মাড়ি কেটে যেতে পারে। খুব জোরে ব্রাশ করবেন না। যাদের ঠাণ্ডা বা গরম খাবারে দাঁতে শিরশির অনুভূত হয় তারা সেনসিটিভিটি কমানোর বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। অনেক সময় বাইরে খাওয়া-দাওয়ার পরে ঠিকভাবে মুখ ধোয়া সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ব্যাগে ছোট মাইথওয়াশ রাখলেও কাজে দেবে।
ঘুমেও সতর্ক থাকুন
ভালো ঘুমে শরীরও থাকে ভালো। তাই ঘুমের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বাইরে অন্ধকার হলেই ঘুমানো ভালো। ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে এবং পরদা টেনে ঘুমাবেন। তাহলে সকালে ঘুম ভাঙার পরেও আলোর প্রভাবে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে না। ঘুমের সময় ল্যাপটপ বা মোবাইল সঙ্গে নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। ঘুমের নানা পর্যায় রয়েছে। এক একটি স্লিপ সাইকল মোটামুটি কয়েক ঘণ্টার। অর্থাৎ আপনি যদি ছয় ঘণ্টা নির্বিঘ্নে ঘুমান তাহলে চারটি স্লিপ সাইকেল পেরিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে কাজেও উৎসাহ পাবেন, ফ্রেমও লাগবে।