শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
যাপিত জীবন

হাসি-খুশি সারা দিন

হাসি-খুশি সারা দিন

► পোশাক ও ছবি: রিচম্যান

যিনি যত হাসি খুশি-সুখী জীবন যাপন করেন, তিনি তত দীর্ঘজীবী হন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তাই জীবনকে উপভোগ করার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় হাসি-খুশি থাকতে চেষ্টা করুন। তবে চাইলেই কী আর সেটা সম্ভব? জানতে হবে হাসি-খুশি আর সুখী থাকার গোপন সূত্র। জানাচ্ছেন— উম্মে হানি

 

ক্ষণস্থায়ী জীবনে নানা ফন্দিফিকিরে ব্যস্ত সবাই। সুখী থাকার জন্যই যত কৌশল অবলম্বন। এ নিয়ে গবেষকদেরও চলে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। উদ্দেশ্য একটাই, সুখের পায়রা খুঁজে বের করা। হাসি-খুশি থাকার মূলমন্ত্রটাকে রপ্ত করা। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, হাসি-খুশি থাকব ভাবলেই আনন্দে থাকা সম্ভব। রোগ-শোকহীন জীবনই পারে একজন মানুষকে সদা খুশি রাখতে। কেননা, সুস্থ ও সবল থাকলে যে কোনো কাজে মন দেওয়াই সহজ। পক্ষান্তরে হতাশায় থাকা ব্যক্তিরা সব সময় চিন্তিত থাকেন। তখন ম্লান হয়ে যায় ঠোঁটের হাসিও।’

 

গবেষকরা সর্বদা হাসি-খুশি থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু কীভাবে হাসি-খুশি থাকা যায় তা জেনে রাখা উচিত। কেননা, নিজে ভালো থাকলে উপায় মেলে। নিয়মিত সুষম খাবার ও পরিমিত ঘুম হাসি-খুশি থাকার মূল মন্ত্র। তবে এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত ব্যায়াম, বই পড়া, বেড়ানো, আড্ডা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সব কিছু ঠিক থাকলে একজন ব্যক্তির পক্ষে সর্বদা হাসি-খুশি থাকা সম্ভব।

 

► ভালো থাকার চাবিকাঠি সঠিক পরিমাণে ঘুম। ঠিকমতো না ঘুমালে যেমন মেজাজ খিটখিটে হতে পারে, ঠিক তেমনই শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে নিজের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমান। মেয়েদের আরও একটু বেশি ঘুমালে ক্ষতি নেই।

►  নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ ভাবুন এবং সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। আমির খানের থ্রি ইডিয়টসের সেই ডায়ালগ, ‘অল ইজ ওয়েল’। অর্থাৎ যা ঘটে ভালোর জন্যই। দেখবেন খুশি থাকতে পারবেন।

►  উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবেই, কিন্তু তা পূরণে মরিয়া নিজের ক্ষতি করবেন না। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করুন। সফলতা যদি নাও আসে হতাশ হবেন না। বিশ্বাস করুন, যা আপনি পেয়েছেন তাই আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।

►  নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। নিজেকে ফিট না রাখলে বিভিন্ন শারীরিক অসুখ হবে। ফলে নিজের বাড়তি মেদ ঝরান। ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করতে পারেন। নিজেকে অনেক ঝরঝরে রাখবে। তা ছাড়া নিয়মিত মেডিটেশন করুন।

► অতীত ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। আবার অতীতকে সঙ্গী করলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুটোই যাবে চুলোয়। তাই ‘কী করতে পারতেন’ তা নিয়ে না ভেবে ‘কী করতে পারবেন’ সেটার ওপর জোর দেন। জীবনে আনন্দ ফিরে আসবেই।

►  মনে রাখবেন, যারা সবসময় হাসিখুশি থাকে তারা বেশ বাস্তববাদী মানুষ। তাদের মধ্যে সত্যিকে সত্যি বলে মেনে নেওয়ার সাহস থাকে। তারাও স্বপ্ন দেখেন। তবে সেটি বাস্তব স্বপ্ন। আর তাই এসব মানুষ কষ্ট কম পায়।

►  খুঁজে বের করুন কোন কাজটি আপনাকে খুশি দেয়। কোন কাজটি করলে আপনি মানসিকভাবে আনন্দ পান তা খুঁজে বের করুন। সেই কাজটিই করুন। মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখবেন না।

সকালে হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে মেজাজও থাকে ফুরফুরে থকে। সঙ্গে বাড়তি মেদও ঝরে যায়। ফলে আপনি থাকেন ফিট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর