শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
যত্ন আত্তি

শীতেও কোমল ঠোঁট

শীতেও কোমল ঠোঁট

♦ মডেল : মাইশা ♦ ছবি : ফ্রাইডে

শীত চলে এসেছে। মাসখানেকের মধ্যে হিম কুয়াশায় ঢাকা পড়বে পুরো দেশ। শীতের এ সময়ে ত্বকের পাশাপাশি সংবেদনশীল ঠোঁটও হয়ে যায় শুষ্ক। ফলাফল ঠোঁটে ক্ষত, আর কথা বলতে অসুবিধা। তাই তো এখন থেকেই প্রয়োজন সঠিক যত্ন আত্তি। জানাচ্ছেন— ফেরদৌস আরা

 

শীত আসছে, আর ঠোঁট ফাটবে না তা কী হয় নাকি! শুষ্ক আবহাওয়ায় কাবু যখন পুরো নগরী তখন ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের অবস্থাও হবে নাজেহাল— এটাই স্বাভাবিক। অনেকের মাত্রাতিরিক্ত ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ফেটেও যায়, যা খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু সমাধান! শীতের সময় ঠোঁট ফাটা সমস্যা খুব সহজ কিছু উপায়ে এড়াতে পারেন। রইল পরামর্শ।

 

কেন ঠোঁট ফাটে?

♦  শরীরে ডিহাইড্রেশনের ফলে ঠোঁট ফাটে।

♦  এ সময় এমনিতেই পানি কম খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই বেশি করে পানি খেলে ঠোঁট ফাটা কমতে পারে।

 

ঠোঁটে ক্লিনজিং

♦  মধু ও লেবুর রসের বিশেষ প্যাক ঠোঁটের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।

♦  লিপবাম মোটা করে ঠোঁটে লাগিয়ে তুলা দিয়ে আলতো করে মরা কোষ তুলে ফেলুন।

 

ঠোঁটের বিশেষ যত্ন

♦ ফাটা ঠোঁটের যত্নে একটু সংবেদনশীল না হলেই নয়। গোসলের আগে আপনার মোহনীয় ঠোঁটে অলিভ অয়েল দিন। চেষ্টা করুন নিয়মিত চিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করার। এ ছাড়া দুধ, মধু ও গোলাপের পাপড়ির পেস্ট তৈরি করে রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে লিপজেল লাগান। এ ম্যাসাজ এক দিন পর পর করা ভালো। এতে ঠোঁট নরম ও কোমল থাকবে। এ পেস্ট তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। এ সময় শুধু ত্বকের জন্যই নয়, ঠোঁটেরও চাই ময়েশ্চারাইজার। আর এ জন্য আমন্ড অয়েল বা বাটার অয়েল দিয়ে নিয়মিত পরিচর্চা করতে পারেন। নিয়মিত যত্নে ঠোঁট থাকবে কোমল এবং আহ্লাদে।

 

ঘরোয়া টোটকা

♦ শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট একটু বেশি যত্ন চায়। প্রতিদিন পারলারে গিয়ে পরিচর্চা সম্ভব নয়। তাই ঘরোয়া টোটকার ওপরই ভরসা করতে বাধা নেই। এর সব উপকরণ মিলবে আপনার হাতের নাগালেই। ঠোঁট ফাটা রোধে ঘি বা মাখন ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে সপ্তাহে অন্তত এক দিন নিমপাতা বেটে ঠোঁটে দিতে পারেন। এটা শুষ্ক ঠোঁটের জন্য খুবই কার্যকর। আপেল থেঁতলে নিয়ে ঠোঁটে মাখতে পারেন। চাইলে ডালিম ফুলের তেল বের করে নিন। এ তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।

 

কী করবেন?

♦ ঠোঁটে সবসময় ভালো লিপবাম লাগান। তবে খেয়াল রাখুন লিপবাম যেন এসপিএফ যুক্ত হয়। শীতেও সূর্যরশ্মি ঠোঁটকে কালো করে দিতে পারে। তাই লিপবামে সান প্রোটেকশন থাকা জরুরি।

♦  শীতে ঠোঁটের কোমলতার জন্য চ্যাপস্টিক, লিপজেল, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন, লিপগ্লস ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।

♦  যাদের ঠোঁট ভীষণ শুকিয়ে যায় তাদের একটি বদ-অভ্যাস তৈরি হয়। যা হলো কিছুক্ষণ পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকে ভাবেন এটি করলে ঠোঁট শুকোবে না। কিন্তু এতে ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

♦  কখনই নিজে নিজে চামড়া উঠাবেন না। এতে ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরা শুরু হবে এবং ফাটা দাগ বসে যেতে পারে। চ্যাপস্টিক, লিপজেল ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ফাটা চামড়া নরম হয়ে এমনিতেই উঠে যাবে।

♦ ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময় একটু সাবধানে করুন, যাতে ঠোঁটে না লেগে যায়। কারণ এতে ঠোঁট শুকিয়ে যায়।

♦  কোনো অনুষ্ঠান ছাড়াও অফিস, ক্লাস বা বাইরে গেলে সবাই ঠোঁটে লিপস্টিক বা লিপগ্লসের ছোঁয়া দিতে ভুল করেন না।

লিপস্টিক ব্যবহার করার আগে আপনার ঠোঁট খুব শুকনো বা তৈলাক্ত যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর