শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
শেষ প্রচ্ছদ

শীতে স্টাইলিশ জুতা

শীতে স্টাইলিশ জুতা

♦ মডেল : আদর রহমান ♦ ছবি : শওকত মোল্লা ♦ আউটফিট ও জুতা : প্লাস পয়েন্ট ♦ সানগ্লাস : আই আর্ট

ছেলেদের সাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক্সেসরিজ জুতা। হবেই না কেন! জুতা দেখে অনেক কিছুই বোঝা যায়। আসলে শুধু সাজ পোশাকে নয়, ফ্যাশনে পরিপূর্ণতা আনতে চাই ফ্যাশনেবল স্টাইলিশ জুতা। ক্যাজুয়াল লুকে স্মার্টনেস আনতে বেছে নিতে পারেন নানা রকম কনভার্স কিংবা লোফার শু লিখেছেন— আবদুল কাদের

 

শুধু ঘড়ি বা পোশাকেই নয়, পছন্দসই স্টাইলিশ জুতা ছাড়া ছেলেদের পুরো ফ্যাশন আয়োজনটাই মাটি। মূলত ফ্যাশন সচেতন ছেলেরা চায় পোশাকের সঙ্গে নজরকাড়া এক্সেসরিজ। ছেলেদের ফ্যাশনের গুরুত্বপূর্ণ এক্সেসরিজ যে জুতা তা মেনে নিতে বাকি নেই কারও।

 

অফিস, ক্লাস বা বন্ধুদের আড্ডা সব জায়গাতেই চাই ফ্যাশনেবল জুতা। কোথায় কেমন জুতা পরবেন এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে! পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে স্লিপার একেবারেই বেমানান। এজন্য চাই চার্মিং কিছু। কি হতে পারে? ইচ্ছেটা আপনার।

ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে বুট পরতে চাইলে বেছে নিন ব্রাউন কিংবা কালো রং। বুট আছে নানা রকম। ভারী সোলওয়ালা বুট, সোয়েড বুট, ওয়াটারপ্রুফ লেদার বুট ইত্যাদি। শার্ট, টি-শার্ট, ব্লেজার বা সোয়েটার যাই হোক, ক্যাজুয়াল ফ্যাশনেই এনে দেবে উষ্ণতা।

 

লেদারের সুচালো মুখ ক্রোকোডাইল জুতা। স্টাইলও হবে, আবার অফিসের বাহ বাহও মিলবে সহজেই। অফিস গেটআপ বা করপোরেট জগতে এই জুতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আসলে লেদারের তৈরি পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এসব জুতার। পাশাপাশি অক্সফোর্ড শুর কদর তো আছেই! বর্তমান তারুণ্য ফ্যাশনকে প্রাধান্য দিয়ে অফিসিয়াল গেট আপে নিয়ে এসেছে পরিবর্তন। কম-বেশি সবাই অফিসিয়াল শুর পাশাপাশি ব্যবহার করছে ক্যাজুয়াল জুতাও।

 

পাড়ার কিশোর থেকে অফিসের বস, সবার কাছেই সমান কদর পেয়েছে স্টাইলিশ স্নিকার্স। এই এক জুতা! যা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই বেশ মানানসই। শীতে এই ধরনের জুতা বেশ আরামদায়ক। শীত থেকে রেহাই পেতে নানা ধরনের নানা ডিজাইনের স্নিকার্স পরতে পারেন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে।

আরামদায়ক সোলড বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই শীতে জমিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলবেন। ভাবছেন, কোন জুতা পারফেক্ট। নির্দ্বিধায় বেছে নিন অ্যাথলেটিক কিকস স্নিকার্স।

আবার অফিস, পার্টি কিংবা বন্ধুদের আড্ডা তথা সব সময়ের সঙ্গী করে নিতে পারেন স্লিপ-অন স্নিকার। ক্লাসিক কনভার্স স্নিকার্স জুতার স্টাইল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বহুদিন ধরে। সরঙ্গ রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে সুপারস্টার স্নিকার্সও। এক কথায় যদি বলি তবে স্নিকার্সের বেশির ভাগই রানিং বা স্পোর্টস শু, হাঁটার জন্য জবাব নেই।

 

এই তো গেল স্নিকার কাহন। আরামে কথা চিন্তা করলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে কেডস ও কনভার্স শু। এই জুতার বৈশিষ্ট্যই হলো এর সোল। রাবারের হওয়াতে পায়ের ওপর চাপও লাগে কম। তাই আরামটাই বেশি এই জুতায়। শীতে ক্যাজুয়াল স্মার্ট লুক চাইলে কেডস বা কনভার্স হতে পারে আদর্শ।

কেননা, এর উপরের কাপড় বা কৃত্রিম চামড়া শীতে উষ্ণতা দেয়। মোটা কাপড়, ক্যানভাস, জিন্স ও চামড়ার তৈরি বিভিন্ন রকমের কনভার্সের মধ্যে হাই কনভার্স, সেমি হাই কনভার্স, শু কনভার্স, প্লেইন কনভার্স, স্পোর্টস কনভার্সই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। পরিষ্কারেও নেই ঝুট-ঝামেলা। ডিটারজেন্টে ডুবিয়ে ধুয়ে একটু রোদে দিলেই শুকিয়ে যায়।

 

তারুণ্যের পছন্দ নিয়ে কথা বলতেই প্লাস পয়েন্টের ফ্যাশন ডিজাইনার ও কর্ণধার বিপুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যে কনকোয়েস্ট বা হাই হিলড অ্যাঙ্কল শু পাওয়া যায় সেগুলো ইয়াং ছেলেরা আউটিংয়ে যেতে বা পার্টিতেও খুবই পরছে। এ ছাড়াও যেগুলো ফেব্রিকের তৈরি, লেদারের নয়, সেগুলোও পরতে খুবই আরামদায়ক হয়। আর লোফার্স তো আছেই।’

 

এথনিক লুক চাইলে বেছে নিতে পারেন স্টাইলিশ লোফার শু। লোফার এক দিকে যেমন আরাম অন্য দিকে সব পোশাকে মানিয়ে সদর্পণে। হবেই না কেন! গত দু-তিন বছর তরুণদের পছন্দের তালিকায় কনভার্সের রাজত্ব থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ জায়গা দখল করছে লোফার। দেখতে অনেকটা মোকাসিন ও ব্যালেরিনা শুয়ের মতো হলেও লোফারগুলোর কাটিং একটু ভিন্ন। বিভিন্ন ডিজাইনের লোফার পাওয়া যাচ্ছে। ছইয়ে চামড়ার বেল্টযুক্ত ডিজাইন, গোড়ালিতে বাড়তি সেলাইয়ের ডিজাইন, সামনের অংশে ফিতা ও সুতার সমন্বয়ে ডিজাইন এবং শুধুই সেলাইয়ের ডিজাইন।

 

কোথায় পাবেন

বাটা, বে এম্পোরিয়াম, অ্যাপেক্স, ম্যাভেরিক, পাওয়ার, এক্সেটসি, স্প্রিন্ট, লোটো, জেনিস, আরবানা, টরাস, প্লাস পয়েন্ট, ফ্রিল্যান্ড ও ক্যাটস আই, এক্সটেসিসহ বিভিন্ন শোরুমে পাবেন পছন্দের জুতা।

 

টি প স :

► লেদারের জুতা নরম শু-ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করুন। নরম শু-ব্রাশ না পেলে পুরনো সুতি কাপড়ও ব্যবহার করতে পারেন।

► জুতা ভিজে গেলে কখনো আগুন বা কড়া রোদে শুকাবেন না।

► জুতা পরার সময় জোর করে পা ঢোকাবেন না। একেবারে এঁটে থাকে এ ধরনের জুতা এড়িয়ে চলুন।

► আবরণওয়ালা জুতা নিয়মিত পরলে অবশ্যই দিনে কয়েক ঘণ্টা পায়ে যেন বাতাস লাগে, সে ব্যবস্থা করবেন।

► উঁচু বা হিল জুতা যার্কে রাখার সময় ফ্ল্যাটভাবে শুইয়ে রাখবেন। জুতা দুটির মুখ একে অপরের বিপরীতে থাকবে।

► চটি জুতার সোল ক্ষয়ে গেলে তা তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করে নিতে হবে।

► যাদের পা খুব ঘামে, তারা আবরণওয়ালা জুতা না পরলেই ভালো করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর