শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টেরিয়র

অন্দরের গালিচা

আবদুল কাদের

অন্দরের গালিচা

ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের মতে, ‘ঘরের আবহ ও গোছালোভাব অনেকটাই নির্ভর করে কার্পেটের রং ও ডিজাইনের ওপর। তাই কার্পেট বাছাইয়ে অবশ্যই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত।’ ছোট ঘর হলে একরঙা অথবা স্বল্প কারুকাজের কার্পেট ও বড় ঘরে ভারি কাজের কার্পেট মানায়। ব্যস্ত লাইফস্টাইলে পারিবারিক আড্ডার স্থানটি হলো ঘরের কেন্দ্রস্থল ড্রইং রুমে প্লেন কার্পেট সেকেলে হলেও এখনো এর কদর ব্যাপক। রং হিসেবে বছাই করে নিতে পারেন ব্লু, কফি ও গ্রিন শেডের মধ্যে গাঢ় রংগুলো। তাছাড়া নকশাদার আর সতরঞ্জি কার্পেটও দিতে পারেন, তবে ঘরের আসবাব, রং আর আবহ দেখে। ইদানীং ফ্লোরাল টাচ কার্পেট ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সোফার রং কিংবা দেয়ালে টানিয়ে রাখা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে কার্পেট নির্বাচন করছেন অনেকে। আবার অনেকেই বসার ঘরে সোফার বদলে স্বল্প উচ্চতার ডিভান ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে বসার জায়গা যদি মেঝে বরাবর হয়, তবে জুড়ে দিতে পারেন বর্ণিল সতরঞ্জি। শীতে ডাইনিং রুম এমনকি বেডরুমেও উষ্ণতার পরশ আনতে বিছিয়ে দিতে পারেন আরামদায়ক কার্পেট। বেড রুমটিকে সাজাতে বেছে নিন হালকা রঙের কার্পেট। তবে ঘরজুড়ে না দিয়ে বিছানার সামনে একটু লম্বা-চওড়া কার্পেটজুড়ে দিন। আজকাল ঘরের করিডরও বাদ যায় না শৌখিন এই গালিচা থেকে। করিডরে লম্বাটে কার্পেট সেকেলে। ভিন্নতা আনতে আয়তাকার কয়েকটি সতরঞ্জি বিছিয়ে দিলে মানাবে। দেয়ালে জুড়ে দিন দুই-চারটি পেইন্টিং। বেশ মানিয়ে যাবে। রান্নাঘরে কার্পেট ব্যবহার বেমানান হলেও এই ঘরে ব্যবহার করতে পারেন রাবারের ম্যাট যা সহজেই পরিষ্কারও করতে পারবেন।

 

কেমন কার্পেট হওয়া উচিত?

এক সময় উলের কার্পেটই আভিজাত্য। সময়ের পালবদলে এর পাশাপাশি পাট, রেক্সিন, কটন, সিন্থেটিকও জায়গা করে নিয়েছে শৌখিন বিলাসীদের ঘরে। একটু অভিজাত ঢঙে সাজানোর জন্য উলের সঙ্গে সিল্ক মেশানো কার্পেট নিতে পারেন। পাশাপাশি হাতে বোনা কাশ্মীরি কার্পেট, নিচে কটন ওপরের সিল্ক কিংবা খাঁটি সিল্ক সুতায় তৈরি কার্পেটও বেছে নিতে পারেন।

 

কোথায় পাবেন

ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাবেন পছন্দের কার্পেট। এসব গালিচার দামও নির্ভর করে কার্পেটের আকার, উপাদান ও ডিজাইনের ওপর। বায়তুল মোকাররম, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, বনানী, গুলশান ডিসিসি মার্কেটে পাবেন এসব কার্পেট।

 

কার্পেটের যত্ন

সারা বছর হয়তো তোলা ছিল আলমারি বা স্টোর রুমে। কিন্তু শীত এলেই তা ব্যবহার করতে হবে। তাই কার্পেট বিছানোর আগে একদিন রোদে রেখে তারপর বিছান। সারা বছর ব্যবহার করলে তিন মাস পর পর রোদে দিন। ধুলাবালি থেকে রক্ষা করতে সপ্তাহে অন্তত একদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। কার্পেটে ময়লা লাগলে সঙ্গে সঙ্গেই স্থানটুকু পরিষ্কার করে ফেলুন। কারণ দাগ বসে গেলে তা পরে তুলে ফেলা কঠিন। তাছাড়া কার্পেট ভেজানো উচিত নয়। ড্রাই ক্লিন করালে ভালোও থাকে টেকেও বহু দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর