শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঘরদোর

পরিপাটি ঘরের উষ্ণতা

সাইফ ইমন

পরিপাটি ঘরের উষ্ণতা

ছবি : ইন্টারনেট

শীতের চাদরে প্রকৃতি এখন পুরোপুরি ঢাকা। তাই ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখা হয়ে উঠেছে পরম আরাধ্য। বাংলাদেশে যেহেতু ফায়ারপ্লেসের ব্যবহার নেই, সেহেতু রুম হিটার ব্যবহার করে দেখতে পারেন অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য। ঘরের ঠাণ্ডাভাব দূর করার জন্য বা আরামদায়ক উষ্ণতা নিয়ে আসার জন্য অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার করেন। তবে যাদের রুম হিটার নেই তাদের শীতের এই সময়টাতে ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখার কৌশলটাও জেনে নেওয়া সময়ের দাবি।

 

ঘরের দেয়াল ঢেকে রাখা

বাড়ির দেয়াল তাপ ধরে রাখতে পারে না তাই ঠাণ্ডা হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। কোনো কিছু দিয়ে দেয়াল ঢেকে রাখলে তাপ সহজে বের হতে পারে না। তাই ঠাণ্ডা লাগে কম। আবার ছোট কার্পেট বা ট্যাপেস্ট্রি ঝুলিয়ে দিলে দেয়ালে আরও বেশি ভালো হবে।

 

জানালায় ভারী পর্দা

দিনের বেলায় জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে ঘর গরম করে রাখলেও রাতে এই জানালা দিয়েই তাপ বের হয়ে যায়। সূর্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারী পর্দা জানালায় টেনে দিলে ঘর থাকবে আরামদায়ক।

 

কাচের দরজা-জানালা

দরজা-জানালা যদি কাচের হয় হবে তাপ একবার প্রবেশ করলে আর বের হয়ে যেতে পারে না। এতে তাপ সহজে হারাবে না, পাশাপাশি ঠাণ্ডা বাতাসও সরাসরি ঘরের ভিতরে ঢুকবে না।

 

বিছানাটি সরিয়ে ফেলা

অনেক সময় জানালার পাশে বিছানা থাকে। শীতের দিনের জন্য হলেও বিছানাটি সরিয়ে নিলে ভালো। তার কারণ খোলসা করা যাক।

 

পর্দা নির্বাচন

পর্দাকে বলা হয় ঘরের আবরণ। সুন্দর, রুচিশীল পর্দা ঘরের পরিবেশকে মনোরম করে তোলে। আর শীতকালে পর্দা নির্বাচনের সময় লক্ষ রাখা উচিত অনেক বিষয়েই। সেই সঙ্গে পরিচয় দিতে হবে রুচিশীলতা ও সৃজনশীলতারও। তবে ঘর যেমন হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়। আর তেমনি ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখতেও পর্দার জুড়ি নেই। শীতের সময় বাইরের ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে ঘরের উষ্ণতা রক্ষা করে পর্দা।

 

চেয়ার বা সোফায় আর্টিফিশিয়াল পশম দিয়ে তৈরি ছোট-বড় কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি যথেষ্ট উষ্ণতর, আরামদায়ক এবং সুলভ মূল্যেই পাওয়া যায়। ফ্ল্যানেলের তৈরি হালকা ওজনের ছোট কম্বলও ব্যবহার করা যেতে পারে যে কোনো জায়গায়। অনেকেই এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ভেলভেটের কাপড়ই বেশি পছন্দ করে থাকে।

 

মোমবাতির ব্যবহার

একটু নান্দনিকতা আর উষ্ণতা পাওয়ার জন্যই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকমের মোমবাতির ব্যবহার ঘরকে আলোকময় করে রাখবে। এসব মোমবাতি পাওয়া যেতে পারে বিভিন্ন আউটলেটে।

 

শীতে ধুলাবালির প্রকোপে অনেক বেশি থাকে। তাই সুস্থতার জন্য হলেও ঘরের যত্ন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ঘরের দরজা-জানালা কিংবা শোকেসসহ সব ধরনের কাচ ও থাই গ্লাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে লাগবে পানিতে ভেজা এক টুকরো স্পঞ্জ বা ফোম। পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ভিনেগার বা অ্যামোনিয়া মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। পরিষ্কারের মাধ্যম হিসেবে সুতি কাপড় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আর জানালার উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করতে পারেন সাদা ভিনেগার। প্রতি এক গ্যালন পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগারই যথেষ্ট। স্প্রে বোতলে নিয়ে স্প্রে করে পেপার বা সূক্ষ্ম সুতার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন। এতে আপনার ঘর থাকবে জীবাণুমুক্ত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর